পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○〉8 মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত লোকের নিকট প্রচার করিতে হইবে, তাহাদিগের জাতীয়ভাব ও রুচির অনুবত্তী হইয়া তদনুরূপ প্ৰণালী অবলম্বন করাই বিধেয় । “Be all unto all mem” ইহাই তাহার উপদেশ। অবশ্য কপটতাচরণ যে মহাপাতক, তাহা বলা বাহুল্য । তবে রামমোহন রায়ের দোষ কোথায় ? সমাজে যে হিন্দুপ্ৰণালী অবলম্বিত হইয়াছিল, তাহ ট্রষ্টডীড-পত্রের কোন কথার বিরুদ্ধ ? এ পৰ্য্যন্ত কেহ তাহ প্ৰদৰ্শন করিতে পারে নাই । কেহ কেহ বলেন যে, রামমোহন রায়ের সময়ে সমাজে যে ঘরে বেদ পাঠ হইত। সেখানে শূদ্রের প্ৰবেশাধিকার ছিল না । সত্য হইলে, এ প্রকার নিয়ম নিশ্চয়ই অসাম্প্রদায়িকভাবের বিরোধী । কিন্তু বামমোহন রায়ের একজন প্রধান শিস্য বাবু চন্দ্ৰশেখর দেব, আমাদের কোন বন্ধুব নিকট এ কথা অস্বীকাব কবিয়াছিলেন । সমাজকে যদি ও হিন্দু আকার দেওযা হইয়াছিল ; কিন্তু উহা মূলে বিদেশীয়দিগের অনুকরণ | প্ৰকাশ্য সভা কবিয়া সামাজিক উপাসনা দেশীয় ভােব নহে । সমাজে বা ইতিবৃত্তেও দেখা যাইতেছে যে, আড্যাম সাহেবের ইউনিটেরিয়ান সোসাইটি দেখিয়া তদনুকরণে আর একটি উপাসনা সভা কবা হইয়াছিল । তবে সেই অনুকরণকে সম্পূর্ণরূপে হিন্দু আকার দেওয়া হয় । ব্ৰহ্মজ্ঞানপ্রচার ও সামাজিক অশান্তি রাজা রামমোহন রায় ও র্তাহার বন্ধুগণের যত্নে ব্ৰহ্মজ্ঞান প্রচার হইতে লাগিল । অনেক সরলচিত্ত লোক রাজার গ্রন্থাদি পাঠ করিয়া র্তাহার মতে আকৃষ্ট হইতে লাগিলেন । বুদ্ধের স্বভাবতঃই রক্ষণশীল ; সুতরাং নব্য সম্প্রদায়ের লোকের মধ্য হইতে অনেকে সত্যগ্রহণে অগ্রসর