৩৩৪ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত রামমোহন রায়ের জ্যেষ্ঠ ভ্রাতৃপত্নীর সহমরণ আমরা পূর্বে বলিয়াছি যে, রামমোহন রায়ের দুই ভ্ৰাতা ছিলেন, সর্বশুদ্ধ তাহারা তিন ভ্ৰাতা । দুইজন সহোদর ও একজন বৈমাত্ৰেয় । জগন্মোহন জ্যেষ্ঠ, রামমোহন মধ্যম, সৰ্বকনিষ্ঠের নাম রামলোচন। তিনি বৈমাত্রেয় ভ্ৰাতা । রামমোহনেব সহোদর জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা জগন্মোহনের পত্নী সহমৃতা হইয়াছিলেন। যিনি সহমৃতা হইয়াছিলেন, তাহার নাম অলকমণি বা অলকমঞ্জৰী । তিনি জগন্মোহনের দ্বিতীয় বা মধ্যম স্ত্রী । তঁাহাব জ্যেষ্ঠা সপত্নীর নাম যশোদা ; তৃতীয়ার নাম অজ্ঞাত। চতুর্থীর নাম দুৰ্গামণি । সর্বশুদ্ধ জগন্মোহনেব চরি৷ ভাৰ্য্যা । অলকমণির সহমরণের সময়ে চল্লিশের অধিক বয়স হইয়াছিল । ১২১৬ সালে, ২৭শে চৈত্র, রবিবারে, শুক্লপক্ষীয় চতুর্থী তিথিতে, অপরাহে এই ঘটনা ঘটে। ১২১৬ সালের ২৭শে চৈত্র, ইং ১৮১ ০ খৃষ্টাব্দেব ৮ই এপ্রেল এই সহমরণ হইয়াছিল। বামমোহন রায় তখন বংপুবে । এই ঘটনায় সতীদাহ নিবারণ বিষয়ে রামমোহন রায়ের উৎসাহ দ্বিগুণিত হইয়াছিল । তাহাব জননী উহা নিবারণ করেন নাই বলিয়া, তিনি বাটী আসিয়া তেঁাহাকে অনুযোগ করিয়াছিলেন । জননী বলিয়াছিলেন যে, তিনি পুত্ৰশোকে একান্ত কাতরা ছিলেন, সুতরাং উক্ত বিষয়ে হস্তক্ষেপ কবিতে পারেন নাই । সতীদাহ ও বলপ্রয়োগ অনেক সুশিক্ষিত ব্যক্তিরও এ প্রকার সংস্কার আছে যে, যে সময়ে সতীদাহ প্ৰথা প্ৰচলিত ছিল, তখন পত্যনুগামিনী রমণীগণ সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে জীবন্ত দেহ ভস্মাবিশেষ করিতেন । কিন্তু বাস্তব কথা এই যে, দশসহস্রের মধ্যে একজন স্ত্রীলোকও সে প্রকার স্বাধীনভাবে জীবনবিসর্জন
পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩৬২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।