পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৩৮ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত জন্য গোড়া হিন্দুরা গবৰ্ণর জেনেরাল হেষ্টিংসের নিকটে এক আবেদন-পত্ৰ প্রেরণ করেন। উক্ত আবেদন-পত্রের বিরুদ্ধে, ১৮১৮ খ্ৰীষ্টাব্দে, গবৰ্ণর জেনেরালের নিকট আর এক আবেদন-পত্ৰ উপস্থিত হয় । এই দ্বিতীয় আবেদন-পত্ৰ যে, রাজা রামমোহন রায়ের উদযোগে প্রেরিত হইয়াছিল, তদ্বিষয়ে কোন সংশয় থাকিতে পারে না । ১৮১৯ খ্ৰীষ্টাব্দের ‘এসিয়াটিক জাৰ্ণল” পত্রে উহা প্ৰকাশিত হইয়াছিল। উক্ত পত্রে লিখিত আছে যে, ঐ আবেদনে কলিকাতানিবাসী অনেক ভদ্রলোক স্বাক্ষর করিয়াছিলেন । গোড়া হিন্দুদিগের আবেদন-পত্ৰ যে, কলিকাতার প্রধান প্ৰধান ব্যক্তিদ্বারা প্রেরিত হইয়াছিল, ইহা দ্বিতীয় আবেদন-পত্রে অস্বীকার করা হইয়াছে। সতীদাহেব আনুষঙ্গিক অত্যাচার নিবারণের জন্য গবৰ্ণমেণ্ট যে সকল আদেশ প্রচার করিয়াছিলেন, এই দ্বিতীয় আবেদন-পত্রে সেই সকলকে ন্যায্য ও একান্ত আবশ্যক বলিয়া প্ৰতিপন্ন করা হইয়াছে । ১৮১৮ খ্ৰীষ্টাব্দের আবেদন-পত্রে, আবেদন কারিগণ বলিতেছেন যে, র্তাহারা নিজে জানেন এবং অনেক স্থলে চক্ষুষদর্শী লোকের নিকট শ্রবণ করিয়াছেন যে, কোন নারীর পতিবিয়োগ হইলে, তাহার পরবত্তী উত্তরাধিকারিগণ চেষ্টা করেন, যাহাতে সেই বিধবা নারী সহমৃতা হন । বিত্তলোভই এরূপ চেষ্টার একমাত্র অভিসন্ধি। এমন সকল ঘটনা ঘটিয়া থাকে যে, কোন নারী পতিবিয়োগ অধীরা হইয়া সহমৃতা হইবার ইচ্ছা প্ৰকাশ করেন ; কিন্তু সঙ্কল্পের পর, ভয়প্ৰযুক্ত অস্বীকার করেন। এরূপ স্থলে, তাহার আত্মীয়েরা তাহাকে বলপূর্বক চিতাশায়ী করিয়া রাজুদ্বারা বন্ধন করেন, এবং যতক্ষণ পৰ্য্যন্ত দেহ ভস্মীভূত না হয়, ততক্ষণ পৰ্য্যন্ত দৃঢ় রূপে চাপিয়া ধরিয়া থাকেন। কোন কোন স্ত্রীলোক, কখন কখন কোনরূপ সুবিধা পাইয়া, চিতা হইতে পলাইয়া যান । তাহাদের আত্মীয়গণ তঁহাদিগকে পুনর্বার ধরিয়া আনিয়া, চিন্তানলে