পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সামাজিক আন্দোলন \SCId নিকটে এক আবেদন-পত্ৰ প্রেরিত হয়। ইহা বিলক্ষণ সম্ভব যে, এই আবেদন প্রেরণের মূলে রাজা রামমোহন রায় ছিলেন। ১৮২১ খ্ৰীষ্টাব্দে রামমোহন রায় সংবাদ-কৌমুদী নামে যে পত্রিকা প্ৰকাশ করিতে আরম্ভ করেন, তাহাতে সহমরণের বিরুদ্ধে প্ৰস্তাব সকল লিখিত হইত। ১৮৩০ খ্ৰীষ্টাব্দে রামমোহন বায় “সহমরণ বিষয়ে তৃতীয় প্ৰস্তাব” ও তাহার ইংরেজী অনুবাদ প্রচার করিলেন। সতীদাহ বিষয়ে পুস্তকপ্ৰকাশ করাতে, রামমোহন রায় গবৰ্ণমেণ্ট হইতে প্ৰশংসা প্ৰাপ্ত হইয়াছিলেন। ১৮১৯ খ্ৰীষ্টাব্দের জুলাই মাসে ইণ্ডিয়া গেজেটে এইরূপ লিখিত হইয়াছিল ;- “আমরা জ্ঞাত হইলাম যে, বাঙ্গালা ভাষায় লিখিত সতীদাহবিষয়ক এই ক্ষুদ্র পুস্তকখানি কোন বাঙ্গালা সংবাদপত্রে পুনমুদ্রিত হইয়াছে। রামমোহন রায়ের এই পুস্তকখানি জনসমাজে পুনর্বার প্রচারিত হওয়াতে ইহাদ্বারা নিশ্চয়ই সুফল উৎপন্ন হইবে।” ইণ্ডিয়া গেজেটে যে বাঙ্গালা সংবাদপত্রের কথা উল্লিখিত হইয়াছে, তাহার নাম সংবাদ-কৌমুদী। রামমোহন রায় এই পত্রিকা প্ৰকাশ করেন। ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহিত এই পত্রিকার সম্বন্ধ ছিল । উহাতে সহমরণ বিষয়ে প্ৰবন্ধ প্ৰকাশিত হইতে আরম্ভ হইলে ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় উহার সংস্রব ত্যাগ করিয়া সমাচারচন্দ্ৰিক নামক সংবাদপত্র প্ৰকাশ করিলেন । ১৮২২ খ্ৰীষ্টাব্দে, সমাচারচন্দ্ৰিক প্ৰথম প্ৰকাশ হয় । এই সময়ে পুনর্বারা ইণ্ডিয়া গেজেটে রামমোহন রায়ের প্রশংসা প্ৰকাশ হইল। উহাতে এইরূপ লিখিত হইয়াছিল ;- “এদেশীয় অতি প্ৰধান এক বিশ্বহিতৈষী ব্যক্তি অনেক দিন হইতে, সভ্য রাজপুরুষগণের সাহায্যকারী এবং মনুষ্যজাতির হিতকারিরূপে এই গুরুতর বিষয়ে ( সতীদাহ ) নেতৃত্ব গ্রহণ করিয়াছেন। তিনি উৎসাহ