পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সামাজিক আন্দোলন WVG শূন্য, সেই সময়েই সুবিধা বুঝিয়া সহমরণ বিষয়ে তাহার মত গ্ৰহণ করা হইত। শোকের সময়ে ইচ্ছাপূর্বক তাহাকে কিছুমাত্ৰ আহার দেওয়া হইত না, এবং শোক ও অনাহারজনিত ক্ষীণতা উপস্থিত হইলে ভাং প্রভৃতি মাদকদ্রব্য সেবন করাইয়া তাহার মত গ্ৰহণ করা হইত। পূর্বে যে পেগস সাহেবের কথা বলা হইয়াছে, তিনিও তাহার প্রচারিত গ্রন্থে ভাং পান করাইবার কথা বলিয়াছেন। সতীদাহানিবারণ রামমোহন রায়ের প্রকাশিত ইংরেজী ও বাঙ্গালা পুস্তকনিচয় সতীদাহ নিবারণের পথ পরিস্কৃত করিয়া দিল । ১৮০৫ খ্ৰীষ্টাব্দ হইতে গবৰ্ণমেণ্ট উক্ত কুপ্ৰথা উঠাইয়া দিতে ইচ্ছা করিতেছিলেন ; কিন্তু পাছে দেশীয়ধৰ্ম্মে হস্তক্ষেপ করা হয়, এই আশঙ্কায় তাহাতে সঙ্কুচিত হইতেছিলেন । রামমোহন রায়ের গ্রন্থ এ বিষয়ে তাহাদের ভ্রম দূর করিয়া দিল। ১৮২৯ খ্ৰীষ্টাব্দে, ডিসেম্বর মাসের চতুর্থ দিবসে, লর্ড উইলিয়ম বেণ্টিঙ্ক, এই কুরীতি রাক্ষসীকে ভারত ভূমি হইতে বিদূরিত করিয়া দিলেন। রামমোহন রায়ের বহুদিনের প্রাণের আশা সফল হইল ; তাহার বাল্যকালের প্রতিজ্ঞা পূর্ণ হইল। লর্ড উইলিয়ম বেণ্টিঙ্কের নামের সঙ্গে সঙ্গে রাজা রামমোহন রায়ের নাম অতীত সাক্ষী ইতিহাস চিরদিন কীৰ্ত্তন করিবে । সতীদাহানিবারণ আইন বিধিবদ্ধ হওয়ার দুই দিবস পরে, নিজামত আদালত দেশের ম্যাজিষ্ট্রেট ও জয়েণ্ট ম্যাজিষ্ট্রেটদিগের নিকট বিশেষ পরামর্শসহ ঐ আইনের প্রতিলিপি প্রেরণ করেন । বিদ্বেষবৃদ্ধি ও আন্দোলন সতীদাহ নিবারিত হওয়াতে ধৰ্ম্মসভার মস্তকে যেন বজাঘাত হইল । তঁহাদের ক্ষোভ, ক্ৰোধ, বিদ্বেষ ও ঘূণার পরিসীমা থাকিল না । আর