পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৪২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাঙ্গালা ভাষা ও সাহিত্যের উন্নতি �ܘܬܼ ছাত্ৰ মানবজাতির সাধারণ ইতিবৃত্ত শিক্ষা করিতে সক্ষম, তাহাদিগকে খ্ৰীষ্টধৰ্ম্মের ঐতিহাসিক ঘটনা সকল শিক্ষা দেওয়া হইয়া থাকে { এই বিদ্যালয়ের সাময়িক পরীক্ষা দ্বারা সুস্পষ্ট বুঝা গিয়াছিল যে, উহার শিক্ষাকাৰ্য্য সুচারুরূপে নির্বাহ হইত। এই বিদ্যালয়ের প্রায় সমুদয় ব্যয় রামমোহন রায় নিজে বহন করিতেন ; এবং উহার উপর তাহার কর্তৃত্ব ও তত্ত্বাবধানও সম্পূর্ণ ছিল । আড্যাম সাহেব ইচ্ছা করিতেন যে, বিদ্যালয়টি বিশেষ ভাবে রামমোহন রায়ের না থাকে । উহ্য ইউনিটেরিয়ান কমিটির অধীন থাকে এবং উহার জন্য সাধারণের নিকট হইতে চান্দা সংগ্ৰহ করা হয়। কিন্তু এ প্ৰস্তাবে রামমোহন রায়ের মত ছিল না । আড্যাম সাহেব, বিদ্যালয়ের কাৰ্য্য নির্বাহ জন্য, যে সকল ব্যবস্থা করিতেন, রামমোহন রায় সে সকল পরিবৰ্ত্তিত করিয়া দিতেন । কিন্তু আড্যাম সাহেব বিদ্যালয়ের সহিত সম্বন্ধ ত্যাগ করেন, তিনি এরূপ ইচ্ছা করিতেন না । দেশের লোক আড্যাম সাহেবকে অতিশয় ভাল বাসিতেন । যাহা হউক, স্কুল সংক্রান্ত কাৰ্য্যে রামমোহন রায়ের সহিত মতের অনৈক্য হওয়াতে, তিনি ১৮২৮ সালে, বিরক্তির সহিত উহার সংস্রব পরিত্যাগ করিলেন ? दक्रिोब्लi ?छ)मश्ङिा এমন এক সময় ছিল যখন, বাঙ্গালাভাষায় গদ্য গ্ৰন্থ ছিল না । কবিকঙ্কণ চণ্ডী, কাশীদাসের মহাভারত, কৃত্তিবাসের রামায়ণ, ভারতচন্দ্রের অন্নদামঙ্গল, প্রভৃতি পদ্যগ্রন্থ সকল ছিল, গদ্যগ্রন্থ একেবারেই ছিল না । কেহ কেহ বলেন, রামমোহন রায় বাঙ্গালা গদ্যরচনার সৃষ্টিকৰ্ত্তা । কেহ বা এ কথার প্রতিবাদ করেন । এ বিষয়ের প্রকৃতসিদ্ধান্ত কি ?