পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৪৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাঙ্গালা ভাষা ও সাহিত্যের উন্নতি 8 o○ ভূমিকা “সৰ্ব্বদেশীয় ভাষাতে এক এক ব্যাকরণ প্ৰসিদ্ধ যদ্বারা তত্তদুাষা লিখনে ও শুদ্ধাশুদ্ধ বিবেচনাপূর্বক কথনে উত্তম শৃঙ্খলামতে পারগ হয়েন, কিন্তু গৌড়ীয় ভাষার ব্যাকরণ না থাকাতে ইহার কথনে সম্যক রূপে রীতিজ্ঞান হয় না, এবং বালক দিগ্যে আপন ভাষা ব্যাকরণ না জানাতে অন্য ভাষাতে শিক্ষাকালে অত্যন্ত কষ্ট হয়, আর আপনি ভাষা ব্যাকরণ যাহার বোধ অল্প পরিশ্রমে সম্ভাবে তাহা জানিলে অন্য অন্য ব্যাক বাণ জ্ঞান অনায়াসে হইতে পারে। এ কারণ স্কুল বুক সোসাইটির অভিপ্ৰায়ে শ্ৰীযুক্ত রাজা রামমোহন রায় ঐ গেী গীয় ভাষার ব্যাকরণ তদ্ভাষায় করিতে প্ৰবৃত্ত ঠায়েন। পরন্তু তাড়ার ইংলণ্ড গমন সময়ে বা নৈকট্য হওয়াতে ব্যস্ত তা প্ৰযুক্ত কেবল পাণ্ডুলিপিমাত্ৰ প্ৰস্তুত করিয়াছিলেন, পুনৰ্দিষ্টর ও সাবকাশ হয় নাই, পরে যাত্ৰাকালীন ইহার শুদ্ধাশুদ্ধ ও বিবেচনার ভার স্কুলবুক সোসাইটির অধ্যাক্ষের প্রতি অৰ্পণ করিয়াছিলেন ; তেহ যত্নপূর্বক সম্পন্ন করিলেন।” বাঙ্গালা গদ্যে “কমা’ প্ৰভৃতি চিহ্ন ব্যবহার এই ভূমিকায় দেখা যাইতেছে যে, “গৌড়ীয় ভাষায় ব্যাকরণ না থাকাতে রামমোহন রায় ব্যাকরণ রচনা করিয়াছিলেন । সুতরাং প্ৰতিপন্ন হইতেছে যে, তিনি অন্যান্য অনেক বিষয়ের ন্যায় বাঙ্গালা ব্যাকরণেরও সৃষ্টিকৰ্ত্তা। এস্থলে আর একটি প্রয়োজনীয় কথা এই যে, এই ব্যাকরণে কমা, সেমিকোলন ও জিজ্ঞাসা বোধক চিহ্ন দেখিতে পাওয়া যাইতেছে। ঐ সকল চিহ্ন রাজা রামমোহন রায়, কিম্বা স্কুলবুক সোসাইটির অধ্যক্ষ, এই দুজনের মধ্যে কেহ ব্যবহার করিয়াছিলেন । কেহ কেহ বলেন যে, বিদ্যাসাগর মহাশয়ই সর্বপ্রথমে বাঙ্গালা গদ্যে কমা, সেমিকোলন প্ৰভৃতি ব্যবহার করেন । ১৮৩৩ খ্ৰীষ্টাব্দে মুদ্রিত রামমোহন রায়ের ব্যাকরণ