পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sby মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচবিত নানক, কবির, দাদু প্ৰভৃতি ধৰ্ম্মপ্ৰবৰ্ত্তকগণের গ্ৰন্থ হইতে কবিতা সকল আবৃত্তি করিতে শুনা যাইত। পরিশেষে হিমগিরি উল্লঙ্ঘন পূৰ্ব্বক তিব্বত দেশে গিয়া উপস্থিত হইলেন । উপক্ৰমণিকায় প্রকাশিত পত্রে, তিনি নিজে বলিতেছেন যে, বিদেশীয় অধিকারের প্রতি সুণাবশতঃ তিনি ভারতবর্ষ পরিত্যাগপূর্বক চলিয়া চান । কিন্তু তাহার জীবনরক্তলেখকগণ র্তাহার তিব্বতযাত্রার একটি বিশেষ কারণ বলেন;--বৌদ্ধধৰ্ম্মের বিষয় অনুসন্ধান । রাজা রামমোহন রায়ের স্বাভাবিক অসাধারণ মহত্ব প্ৰতিপন্ন করিতে হইলে তাহার জীবনের এই একটি ঘটনা উল্লেখ করিলেই যথেষ্ট হইল । প্ৰায় এক শতাব্দী পূর্কের যখন ভািবত বর্ষ কুসংস্কার-অন্ধকারে আচ্ছন্ন, যখন পাশ্চাত্যজ্ঞানেব একটিও বাঁশি, সেই তিমিরজাল ভেদ করে নাই, যখন ভারতে ইংরেজী শিক্ষা, বক্তৃতা, সংস্কার এ সকলের সূত্রপাতিমাত্রও হয় নাই, তখন প্ৰায় ষোড়শবর্ষীয এক বালক দেশ প্রচলিত ধৰ্ম্মের বিরুদ্ধে গ্রন্থ লিখিয়া পিতৃগৃহ হইতে বিদূরিত হইল! কেবল তাহাই নহে । যখন বৰ্ত্তমান সময়ের ন্যায় যাতায়াতেব সুবিধা ছিল না, রেলওয়ে ছিল না, এক দিবসে প্ৰয়াগাযাত্ৰা উপন্যাসেব কথা ছিল, সর্বত্রই দাসু্য-তস্করের ভয়, সেই সময়ে, একজন বাঙ্গালী বা লক ভারতের বিভিন্ন প্ৰদেশ ভ্ৰমণে প্ৰবৃত্ত হইল ! কেবল তাহাই নহে । যে সমযে হিমাচলকে পৃথিবীর সীমা বলিয়া লোকের সংস্কার ছিল, যে সময়ে সাত শত বৎসরেব কঠোর নিষ্পেষণে স্বাধীনতার ভাব দেশবাসিগণেব হৃদয় হইতে বিলুপ্ত হইয়াছিল, যে সময়ে চিরপ্ৰচলিত কুসংস্কারে আবালবৃদ্ধবনিতা সকলেই নিমজিত, যে সময়ে বিদেশভ্ৰমণ বঙ্গবাসীবি পক্ষে নিতান্ত দুষ্কর ও কষ্টকর। কাৰ্য্য বলিয়া পরিগণিত হইত, সেই সময়ে প্রায় যোড়শবর্ষীয় এক বাঙ্গালীর সন্তান, বিদেশীয় শাসনের প্রতি আন্তরিক ঘুণাবশতঃ এবং বৌদ্ধধৰ্ম্মের তত্ত্ব সকল অবগত হইবার জন্য, সম্পূর্ণরূপ