পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাত্ম রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত ماج পূর্বক তাহার গৃহদ্বার ঈষৎ উন্মুক্ত করিলেন। রামমোহন রাম বুঝিতে পারিয়া আর একটু প্রতীক্ষা করিবার জন্য র্তাহাকে ইঙ্গিত করিলেন। কিয়ৎক্ষণ পরেই পাঠ সঙ্গ করিয়া আহারাদি করিলেন। কথিত আছে, তিনি এই এক দিনের মধ্যে একাসনে সপ্তকাও রামায়ণ পাঠ শেষ সতীদাহ নিবারণের প্রতিজ্ঞা মক: জনগণের জীবনবৃত্তান্ত পাঠ করিলে দেখা যায় যে, এক একটি ঘটনায়ু, । হব তো অতি সামান্য কোন ঘটনায়) অনেক সময়ে তাহীদের জীবন সম্পূর্ণরূপে পরিবর্তিত হইয়া যায়। বিধাতার অঙ্গুলি সেই সকল ঘটনার মধ্য দিয়া আঁহাদিগকে নূতন সত্য ও কৰ্ত্তব্যপথ প্ৰদৰ্শন করে । জীবনে শত - ত দিন কে না। শ্মশানে শব লইয়া যাইতে দেখে ? কিন্তু কপিল বস্তুর রাজকুমার উহা দেখিয়া সিংহাসন চরণে ঠেলিয়া সন্ন্যাস অবলম্বন পূৰ্ব্বক অৰ্দ্ধ জগদ্ব্যাপী অক্ষয়কীৰ্ত্তি স্থাপন করিয়া গিয়াছেন । পৃথিবীতে শত শত লোক কি বজাঘাতে মৃত্যু দেখে নাই ? কিন্তু মাির্টন লুথার ত জন্যই সংসারে জলাঞ্জলি দিয়া ধৰ্ম্মের আশ্রয় গ্ৰহণ করিয়াছিলেন। কোন শিশু না ক্ষুদ্র ইত্যর জন্তুদিগকে প্রহার করে ? কিন্তু চারি বৎসর বয়স্ক থিওডোর পার্কার, একটি কুৰ্ম্মকে মারিতে গিয়া বিবেকের গৃঢ় কাৰ্য্য দেখিতে পাইলেন। সেইরূপ, রামমোহন রায়ের সময়ে চিন্তানলে জীবিত সতীর মৃত্যু কে না দেখিত ? কিন্তু তন্মধ্যে তিনিই তাহার জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা জগন্মোহনের স্ত্রীর সহমরণব্যাপার স্বচক্ষে দেখিয়া প্ৰতিজ্ঞা করিলেন যে, যতকাল বাঁচি বন, এই ভয়ঙ্কর প্রথা সমূলোৎপাটিত কায়ারার জন্য প্ৰাণপণে সত্ত্ব করিবেন। তিনি তাঁহাকে সহমরণ হইতে নিবৃত্ত বরিবার জন্ত অনেক বুঝাইয়াছিলেন, কিন্তু কৃতকাৰ্য্য হইতে পারেন নাই ।