পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्रांछ ब्रांभgभांश्न ब्रांशिद्ध जद6ांश्रीन भश्ड् १२७ উহা বিস্মৃত হওয়া আবশ্যক। একটি প্ৰবোধের বিষয়ও আছে । আমাদের রাজা একেবারে নির্বাণ হইবার বস্তু নন। তিনি ভূলোক হইতে অন্তহিত হইয়াছেন, তথাচ চিরাবলম্বিত হিত-ব্ৰত উদযাপন করিয়া যান নাই । তদীয় সমাধি-ক্ষেত্র হইতে কতবার কত পরম শ্ৰদ্ধেয় সুপবিত্র মহানাদ বিনিৰ্গত ও প্ৰতিধ্বনিত হইয়া কতই হিন্তোৎসাহ উদ্দীপন ও কতই শুভ সঙ্কল্প সম্পাদনা করিয়া আসিয়াছে । অতএব তিনি প্ৰাণত্যাগ করিয়াও আমাদিগকে পরিত্যাগ করেন নাই ; জীবৎ-কালের সদভিপ্ৰায়-বলে ও নিজ চরিতের দৃষ্টান্ত প্ৰভাবে মৃত্যুর পরেও উপকার সাধন ও উপদেশ প্ৰদানপূর্বক আমাদের ভক্তি ও কৃতজ্ঞতাভাজন হইয়া রহিয়াছেন । কেবল আমাদের নয়, ইয়োরোপ আমেরিকাও ভক্তি-শ্রদ্ধা সহকারে তাহাকে চিরস্মরণীয় করিয়া রাখিয়াছে।” “তিনি জীবদ্দশায় স্বদেশীয় লোককর্তৃক নিগৃহীত হইয়া প্ৰত্যাশা করিয়াছিলেন, উত্তরকালীন লোক তাহার নিকট কৃতজ্ঞ হইবে । কিন্তু একাল পৰ্য্যন্ত তাহার তাদৃশ কিছু দৃশ্যমান চিহ্ন প্ৰকাশ পায় নাই । ভাগ্যে সুবিখ্যাত দ্বারকানাথ ঠাকুর মহাশয় ইংলণ্ডভূমিতে গমন করেন, তাই তাহার একটি রীতিমত সমাধিমন্দির প্রস্তুত হয়। ভাল ভাবুতবর্ষীয়গণ! তোমরা তো মধ্যে মধ্যে ব্যক্তি বিশেষের স্মরণার্থ তদীয় প্রতিরূপাদি প্ৰস্তুত করিতে অগ্রসর হও, কিন্তু রামমোহন রায়ের একটি সৰ্বাবয়ব সম্পন্ন প্ৰতিমূৰ্ত্তি প্ৰস্তুত করাইয়া বেন্টিঙ্ক মহোদয়ের দক্ষিণ হস্তের দিকে সংস্থাপন করিতে কি অভিলাষ হয় না ? স্বদেশীয় গ্ৰন্থকারগণ! সবিশেষ অনুসন্ধান পূর্বক তাহার একখানি সৰ্ব্বাঙ্গ-সুন্দর জীবন-চরিত সঙ্কলন করিয়া স্বীয় লেখনী স্বার্থক ও পবিত্র করা এবং তদ্বারা তাহার ঋণের লক্ষাংশের একাংশ পরিশোধ করা কি অতিমাত্র উচিত বোধ হয় না ? আমরা কি অকৃতজ্ঞ ! কি নরাধম।”