পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজা রামমোহন রায়ের ধৰ্ম্মবিষয়ক মত dરો সমালোচনা কিরূপভাবে করিয়াছিলেন, জানিতে পারা যাইত । জগতে প্ৰচলিত বিবিধ ধৰ্ম্মের আলোচনা করিয়া তাহা হইতে সাধারণ তত্ত্ব রাজাই প্ৰথমে প্ৰকাশ করেন। উক্ত মনাজারাতুল পুস্তক যদি পাওয়া যাইত, তাহা হইলে উহাতে রাজা বিভিন্ন ধৰ্ম্মপ্রণালীর আলোচনা করিয়া কোন সাধারণ ধৰ্ম্মতত্ত্বের কথা বলিয়াছেন কি না, জানা যাইতে পারিত। - উক্ত পুস্তকের নাম দ্বারা নিশ্চয় হইতেছে যে, উহা কথোপকথনচ্ছলে লিখিত। বোধ হয়, সুপ্ৰসিদ্ধ দার্শনিক হিউম সাহেবের অনুকরণে রাজা উহ্য কথোপকথনচ্ছলে লিখিয়াছিলেন। উক্ত পুস্তক যাহাতে প্ৰাপ্ত DD BBS DDBBB BBB DBDDBDBB DBD DDDBBDSS BDDD BBDDD লিখিয়া গিয়াছেন যে, “তুহফাতুল মওয়াহিদ্দীন”। তিনি মুদ্রিত করিয়া প্ৰকাশ করিয়াছিলেন । কিন্তু তাহার লিখিবার ভঙ্গিতে ইহাও বোধ হয় যে, মনাজারাতুল পুস্তক কখনও মুদ্রিত করেন নাই। হস্তপ্ৰতিলিপি লইয়া উহা প্ৰচলিত হইয়াছিল। সে সময়ে এদেশে মুদ্রাযন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হইতে আরম্ভ হইয়াছিল মাত্ৰ । প্রচারার্থ বাঙ্গালা গদ্য অবলম্বন যখন রাজা কলিকাতায় আসিয়া বাস করিলেন এবং জীবনের মহাব্ৰত বলিয়া ব্ৰহ্মজ্ঞান প্রচারে ব্ৰতী হইলেন, তখন তিনি পারস্য ভাষা পরিত্যাগ করিয়া বাঙ্গালা গদ্য অবলম্বন করিলেন। বাঙ্গালা গদ্য অবলম্বন করিয়া ধৰ্ম্মগ্রন্থ লিখিবার অনেক কারণ ছিল। প্ৰথম, কলিকাতা হিন্দুপ্ৰধান স্থান। বাঙ্গালী হিন্দুদের মধ্যে ধৰ্ম্মপ্রচার করিতে হইলে, বাঙ্গালা ভাষা অবলম্বন করাই সুবিধা। দ্বিতীয়, তখন মুসলমানদিগের আধিপত্য চলিয়া গিয়াছে। পারস্য ভাষা শিক্ষা করা হ্রাস হইয়া আসিতেছিল; ইংরেজি শিক্ষা আরম্ভ হইতেছিল; সুতরাং রাজা বাঙ্গালা 34