পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫৪৬ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত মানিতেন। তঁহাদের মতের সহিত অনেক পরিমাণে যুক্তিবাদ মিশ্রিত ছিল। মতাজল শব্দের অর্থ সম্প্রদায়িত্যাগী, অর্থাৎ মুল মুসলমান সম্প্রদায়ের সহিত র্তাহাদের মতভেদ হইয়াছিল বলিয়াই তঁাহাবা উক্ত নামে অভিহিত হইয়াছিলেন। সারস্তানী, তাহার মিলালওয়ানাহাল নামক গ্রন্থে মতা জলদিগের ভিন্ন ভিন্ন বিভাগে বা মত বিশেষ কবিয়া লিখিয়াছেন । তাহাদিগের কতকগুলি মত নিমে লিখিত হইল । ১ । পরমেশ্বব অনাদি অনন্ত । অনাদ্যনন্তত্ব র্তাহাব স্বৰূপে বা একটি বিশেষ লক্ষণ। পাবমেশ্বরেব ইচ্ছা, জ্ঞান প্ৰভৃতি র্তাহার স্বরূপে বা অনাদি অনন্তকালস্থায়ী বিশেষ বিশেষ গুণ বলিয়া তাহারা মানিতেন না। তাহাবা বলিতেন, সর্বজ্ঞতা পাবমেশ্বরে বা স্বরূপ, গুণ নহে। সৰ্ব্বশক্তিমত্তা তাহাব স্বরূপ, গুণ নহে। তাহার জ্ঞান, শক্তি প্ৰভৃতি ভিন্ন ভিন্ন গুণরূপে তাহাতে বৰ্ত্তমান নাই। অর্থাৎ ঈশ্বর জ্ঞানময়, ইচ্ছাময়, প্ৰাণময়। জ্ঞান, ইচ্ছা প্ৰভৃতি তাহার স্বরূপ (Essence) ; ঐ সকল তাহাব ধৰ্ম্ম বা গুণ নহে। পাবমেশ্বরে ধৰ্ম্মধৰ্ম্মী বা গুণগুণী ভাব থাকিতে পাবে না। মতা জলদিগের মতে তাহাতে দুইটি দোষ হয় ; প্ৰথম, পাবমেশ্বব তাহার গুণের অধীন হইয়া পড়েন। পদার্থ সকল যেমন তাহদের গুণের অধীন, সেইরূপ তিনিও তাহাব গুণে বা অধীন হইয়া পডেন । দ্বিতীয়, পরমেশ্বরেব ভিন্ন ভিন্ন গুণ স্বীকাব কবিলে, তাহাব একত্ব সম্পূর্ণরূপে প্ৰতিপন্ন হয় না । ভিন্ন ভিন্ন গুণ স্বীকার করিলে “ওয়াহাদৎ’ অর্থাৎ একত্ব বজায় থাকে না । সুফীদিগের এবং বেদান্তেরও এই প্ৰকাব মত । স্বরূপলক্ষণ সকল ঈশ্বরের ধৰ্ম্ম নহে ; ঐ সকল তাহার স্বরূপ। যেমন সৎ, চিৎ, আনন্দ। কিন্তু যে যে স্থািল ঐসকল গুণের কথা আছে, সেই সকল স্থলে তটস্থ লক্ষণদ্বারা ঐ রূপ বলা হইতেছে, মনে কবিতে হইবে । রাজা রামমোহন রায়েরও এই প্রকার মত ছিল। মহম্মদ বলিয়াছেন,