পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৬৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজা রামমোহন রায়ের ধৰ্ম্মবিষয়ক মত ܪ ܘܟܠ তাৎপৰ্য্যানুসারে তিনি দেবতাদিগের অস্তিত্ব ও তাহাদিগের নশ্ববত্ব সিদ্ধান্ত করিয়াছেন । বাইবেল শাস্ত্ৰ সম্বন্ধেও অবিকল সেইরূপ । উক্ত শাস্ত্ৰবিষয়ক বিচারগ্রন্থ সকলের যে যে স্থল পাঠ করিলে বোধ হয় যে, তিনি খ্ৰীষ্টর মৃত্যুর পরে তাহার পুনরুখানে এবং তঁাহাব অনৈসৰ্গিক ক্রিয়া সকলে বিশ্বাস প্ৰকাশ করিতেছেন, তাহা বাস্তবিক তাহার আন্তরিক বিশ্বাসের কথা নহে । ঐ সকল স্থলের প্রকৃত তাৎপৰ্য্য কেবল এই মাত্ৰ যে, অনৈসৰ্গিক ক্রিয়া প্ৰভৃতি উক্ত শাস্ত্রসঙ্গত বলিয়া তিনি স্বীকার করিয়া লইতেছেন। তিন ঈশ্বরের মত, খ্ৰীষ্টব ঈশ্বরত্ব প্রভৃতি খ্ৰীষ্টিয়ানদিগের কয়েকটি মত যে বাস্তবিক তাহাদিগের শাস্ত্ৰসিদ্ধ নহে, ইহা তিনি সুন্দরীরূপে প্ৰতিপন্ন করিয়াছিলেন। খ্ৰীষ্টের অনৈসর্গিক ক্রিয়া ও মৃত্যুর পরে তােহাঁর পুনরুখান, এই দুইটি বিষয় সম্বন্ধে তিনি উক্তরূপ সিদ্ধান্তে উপনীত হইতে পারেন নাই। সুতরাং উহা খ্ৰীষ্টীয় শাস্ত্ৰসিদ্ধ বলিয়া, মানিয়া লইয়াছিলেন। কিন্তু অদূবদিশী লোকে তাহার বাক্যের প্রকৃত তাৎপৰ্য্য হৃদয়ঙ্গম করিতে না পারিয়া উহ। তাহার আন্তরিক বিশ্বাস বলিয়া মনে করিয়াছে । রাজা রামমোহন রায় দেখিলেন যে, লোকেরা যেরূপ কুসংস্কারান্ধ, তাহাতে তাহারা শাস্ত্ৰনিরপেক্ষ বিশুদ্ধ যুক্তির বল অনুভব করিতে সম্পূর্ণ অক্ষম। তাহাদিগের্ব অবলম্বিত শাস্ত্রের আশ্রয় গ্ৰহণ না করিলে, কোন কথাই তাহাদিগের গ্রাহ্য হইবে না । সুতরাং তিনি যে যে সম্প্রদায়ভুক্ত লোকের সহিত ধৰ্ম্মবিচারে প্রবৃত্ত হইয়াছিলেন, তাহাদিগের অবলম্বিত শাস্ত্ৰ হইতেই স্বীয় মত প্ৰতিপন্ন করিয়া দিতে চেষ্টা করিয়াছিলেন। ষাহাতে লোকে কোন প্ৰকার সৃষ্টজীব বা অপর কোন পদার্থের উপাসনা না করিয়া একমাত্র নিরাকার অনন্তস্বরূপ পরমেশ্বরের 9