পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৬৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

VeSby মহাত্মা রাজা রামমোহন বায়ের জীবনচবিত পরমেশ্বব যে সকল অমূল্য সত্য প্রেবণ কবেন, তাহাই প্ৰচলিত শাস্ত্ৰ সকলে প্ৰাপ্ত হওয়া যায় । দ্বিতীয়তঃ, যখন দেখিতেছি যে, রাজা বামমোহন রায়, ষে কোন সম্প্রদায়ের লোকোব সহিত বিচারে প্রবৃত্ত হইয়াছেন, তঁহাদিগেবই শাস্ত্রকে স্বীকার করিয়া লইয়া, তাহাদিগেব শাস্ত্ৰকে মান্য করিয়া, উক্ত শাস্ত্ৰ হইতে স্বীয় মত প্ৰতিপন্ন কবিতে চেষ্টা কবিয়াছেন, তখন কেমন করিয়া বলিব যে, তিনি বেদ বা বাইবেল প্ৰভৃতি কোনও শাস্ত্ৰবিশেষকে অভ্রান্ত আপ্তবাক্য বলিয়া বিশ্বাস করিতেন ? যে যুক্তিতে হিন্দুরা র্তাহাকে বেদাদি শাস্ত্রের অভ্রান্ততায় দৃঢ়বিশ্বাসী হিন্দু বলিয়া মনে কবেন, সেই প্ৰকার যুক্তিতে খ্ৰীষ্টিয়ানোবা তঁহাকে বাইবেল বিশ্বাসী খ্ৰীষ্টিয়ান বলিতে পাবেন। তৃতীয়তঃ, তিনি যে তঁহার জীবনেব বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন শাস্ত্ৰবিশ্বাসী ছিলেন না, ইহা তাহার বিভিন্ন শাস্ত্ৰ সম্বন্ধীয় বিচাবি গ্রন্থের সময়নির্দেশদ্বাবা প্ৰতিপন্ন হইয়াছে। অর্থাৎ তাহাব হিন্দুশাস্ত্ৰ সম্বন্ধীয় কোন কোন গ্ৰন্থ এবং খ্ৰীষ্টীয়শাস্ত্ৰ সম্বন্ধীয কোন কোন গ্ৰন্থ একই সময় প্ৰকাশিত হইয়াছিল। তাহার হিন্দুশাস্ত্র সম্বন্ধীয় গ্রন্থানুসারে যদি তাহাকে হিন্দুশাস্ত্ৰবিশ্বাসী বলিয়া মনে কবা হয়, তাহা হইলে তঁাহার খৃষ্টধৰ্ম্ম সম্বন্ধীয় গ্ৰন্থ দেখিয়াও তাহাকে উক্ত শাস্ত্রের অভ্ৰান্ততায় বিশ্বাসী বলিয়া সিদ্ধান্ত করা যাইতে পাবে। কিন্তু এই উভয়ই এক সময়ে কখনই সম্ভব হইতে পারে না । চতুর্থত, তাহার কাৰ্য্য ও আচরণ স্মরণ কবিলেও বুঝা যায় যে, তিনি বাইবেল প্রভৃতি শাস্ত্ৰকে অভ্রান্ত আপ্তবাক্য বলিয়া স্বীকার করিতেন না। ইহার প্রমাণ আমরা পূর্বে দিয়াছি, এস্থলে পুনরুক্তি অনাবশ্যক ।