পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৬৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬৪৬ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত দেবোপাসনার রূপক ব্যাখ্যা দেবোপাসনা সম্বন্ধে আর একটি স্তর। দেবতা দিগকে রূপক ভাবে অর্থাৎ পরিব্রহ্মের বিবিধ শক্তি ও গুণের প্রকাশ বলিয়া ব্যাখ্যা করা । রাজা বলেন, হিন্দুশাস্ত্ৰে ব্ৰহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বব, ইন্দ্ৰ, চন্দ্ৰ সূৰ্য্য আদি সকলে প্ৰথমে শ্ৰেষ্ট জীব বলিয়া গণ্য ছিলেন। পরে, পরমেশ্বরের অনন্ত গুণের রূপক চিহ্ন বলিয়া তাহাদিগকে বিবেচনা করা হইল। রাজার মতে, বেদের পূর্বভাগে ও বেদান্তে এইরূপ জীব-দেবতা সকলকে পরমেশ্বরেব গুণের রূপক চিহ্ন-স্বরূপ বলিয়া গণ্য করা হইয়াছে। যেমন পরমেশ্বরের স্বজন, পালন ও বিনাশ, এই যে তিন শক্তি, ইহার প্রত্যেকে বা রূপকিমূৰ্ত্তি রন্থিয়াছে। স্বষ্টিশক্তির রূপকামূৰ্ত্তি ব্ৰহ্মা, পালনীশক্তিব রূপকমূৰ্ত্তি বিষ্ণু, এবং সংস্থাবশক্তির রূপকামূৰ্ত্তি শিব। রামমোহন রায় ও দয়ানন্দ সরস্বতী উপনিষদে ও বেদান্তদর্শনে, এই সকল দেবতাকে উন্নত শ্রেণীর জীব এবং ব্ৰহ্মপূজাব রূপক চিহ্নস্বরূপ বলিয়া বর্ণিত হইয়াছে, দেখিয়া তিনি মনে ব কি তেন যে, বেদেব পূর্বভাগে যে ইন্দ্ৰাদি দেব তার বর্ণনা আছে, উহা আধ্যাত্মিক রূপকভাবে ব্ৰহ্মপূজার বর্ণনা ভিন্ন আর কিছুই নহে । এ বিষয়ে বাজার সহিত মহাত্মা দয়ানন্দ সরস্বতীর মতের ঐক্য দেখা যাইতেছে । ঈশ্বরের নানা গুণ, নানা ভাব, নানা শক্তি অনুভব করিবার জন্য নানা কৃত্রিম রূপ বল্পনা করা হইয়াছে। এমন ভাবে রূপ কল্পনা করা DBDBDBL DSS DDD BD DBBDB S BBDBS DD DB LBDT BBBK DS পুরাণ ও তন্ত্রে এই প্ৰকার অনেক রূপকল্পনা আছে। ধ্যানযোগে যে সকল রূপসম্প্রদর্শন হয়, তাহাও এইরূপ ।