পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৬৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজা রামমোহন রায়ের বিষয়ে আয়ও কয়েকটি কথা ৬৫৯ সেই হিতকর প্রথাটি, সমাজে প্ৰবৰ্ত্তিত করিতে হইবে। যে প্ৰণালী অনুসারে বঙ্কিমবাবু সমুদ্রযাত্রার সমর্থন করিয়াছেন, ইহা তাহাই । এই এক পন্থা । কিন্তু ইহা যথেষ্ট নহে । সমগ্র সমাজের জন্য যে প্ৰথা আবশ্যক, তাহা কেবল ব্ৰহ্মনিষ্ঠদিগের মধ্যে প্ৰবৰ্ত্তিত হইলে চলিবে কেন ? হিন্দু রাজাদিগের সময়ে কোন বাধা ছিল না। হিন্দু রাজারা এ বিষয়ে কি করিতেন ? ব্ৰাহ্মণ-পণ্ডিত ও সাধুগণের সভা ডাকিয়া, শাস্ত্রের নূতন ব্যাখ্যা দ্বারা, কিম্বা নিজ সভাসদগণের দ্বারা, শাস্ত্রের নূতন ব্যাখ্যা ক বাইয়া, নূতন ব্যবস্থা চালাইয়া, অনেক রূপ হিতকর প্রথা প্ৰচলিত করিতে পারিতেন । প্ৰধান প্ৰধান টীকাকার ও ভাষ্যকারেরা এইরূপে প্ৰথা পরিবর্তন করিয়া গিয়াছেন । বাজা রামমোহন বায় এই সকল ঐতিহাসিক বৃত্তান্ত জানিতেন। এইরূপ উপায়ে হিন্দুসমাজে পূর্বে যে পরিবর্তন হইয়াছে, রাজা তাহার রচিত হিন্দু নারীর দায়াধিকার বিষয়ক প্ৰবন্ধে তাহার উল্লেখ করিয়াছেন । কিন্তু এ উপায় এক্ষণে আর নাই। এখন হিন্দু রাজা নাই, হিন্দু ব্যবস্থাপক নাই, এবং সেরূপ जभास्त्र-भाजन 9 नाई । তবে উপায় কি ? রাজা কোন স্থলে বলিয়াছেন যে, কোন কোন স্থলে, ক্ৰমে ক্ৰমে দেশাচার পরিবৰ্ত্তিত হইয়া যায়। এরূপ পরিবর্তনের অনেক দৃষ্টান্ত দিয়াছেন। দেশাচার, সদ্ব্যবহাররূপে দাড়াইলে, অর্থাৎ সাধুপরিগৃহীত হইলে, এবং লোকশ্রেয়ের বিপরীত না হইলে, উহা শাস্ত্ৰীস্বরূপ হইয়া যায়। এইরূপে কোন শাস্ত্ৰনিষিদ্ধ হিতকর প্রথা সমগ্ৰ সমাজে কালে প্ৰচলিত হইতে পারে। পঞ্চম ;-ধৰ্ম্মযাজক ও ব্রাহ্মণ পণ্ডিতেরা যে কোন প্ৰথা চালাইতেন, তাহাই অজ্ঞান ও কুসংস্কারের জন্য চলিয়া যাইত। ইহাতে সমাজে