পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 R মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত “রামমোহন রায়ের একজন অনুগত শিষ্য’ বলেন,-“রামমোহন রায় যখন ১৭৩৪ শকে রংপুরের বিষয়কাৰ্য্য পরিত্যাগ করিয়া এক ঈশ্বরের উপাসনা চারের উদ্দেশ্যে কলিকাতায় আগমন করেন, তখন হরিহরানন্দ তীর্থস্বামীকে আপনার সঙ্গে করিয়া আনিলেন । তীর্থস্বামী দেশপৰ্য্যটন করতঃ রংপুরে উপস্থিত হইয়া রামমোহন রায়ের সহিত সাক্ষাৎ করেন। তিনি তাহার শাস্ত্রচর্চা ও উদারভাবে পরিতৃপ্ত হইয়া তাহাকে সম্মানপূর্বক গ্ৰহণ করেন ; এবং তীৰ্থস্বামীও তাহার প্রণয়পাশে বদ্ধ হইয়া ছায়াবৎ তাহার সংসর্গে থাকেন ; তিনি তন্ত্রোক্ত সাধন বামাচারে রত ছিলেন এবং মহানির্বাণতন্ত্রানুযায়ী ব্ৰহ্মোপাসক ছিলেন। অবধূতাশ্রম গ্রহণ করিবার পূর্বে র্তাহার নাম নন্দকুমার ছিল । * তঁহারই কনিষ্ঠ ভ্রাতা রামচন্দ্ৰ বিদ্যাবাগীশ, যিনি ব্ৰাহ্মসমাজের বিখ্যাত প্ৰথম আচাৰ্য্য ছিলেন । হরিহরানন্দ তীর্থস্বামী, বিদ্যাবাগীশ মহাশয়কে রামমোহন রায়ের নিকটে আনিয়া সমৰ্পণ করেন । ক্ৰমে ক্ৰমে বিদ্যাবাগীশ মহাশয় তাহার একজন প্ৰধান সহযোগী হইয়া উঠিলেন। * রামমোহন রায়ের নিকটে শিবপ্রসাদ মিশ্র নামক একটি হিন্দুস্থানী ব্ৰাক্ষ্মণ থাকিতেন ; তাহার সহিত তিনি উপনিষদের আলোচনা করিতেন।” যে সকল ব্যক্তির নাম করা হইল, ইহারা সকলেই যে ধৰ্ম্মানুসন্ধানে র্তাহার নিকট আসিতেন, এরূপ নহে। বৈষয়িক বিষয়ে পরামর্শ গ্ৰহণ করিবার জন্যও কেহ কেহ আসিতেন। পৌত্তলিকতার বিরুদ্ধে রামমোহন রায়েব প্ৰবল প্ৰতিবাদের জন্য তাহার কোিঠ কেহ আসা বন্ধ p

  • পরিশিষ্ট দেখা । + ইহার নিবাস মালপাড়া গ্রামে ছিল। ইনি পরে সংস্কৃত কলেজে স্মৃতিশাস্ত্রের অধ্যাপক হইয়াছিলেন ।