পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৭৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিশিষ্ট qo) এবং পরম আহলাদ সহকারে শঙ্খের অদ্ভুত গুণ ও মূল্যের বিষয় সকল কথা শুনাইলেন এবং এবিষয়ে তাহার মতামত জিজ্ঞাসা করিলেন । রামমোহন আনুপূর্বিক সমস্ত অবগত হইয়া উত্তর করিলেন যে, সমস্ত জগৎ যাহার জন্য হাহাকার করিতেছে, যিনি আবাল-বৃদ্ধ-বনিতার অভীষ্ট দেবী, সেই কমলাকে যদি পাচশত টাকার বিনিময়ে দৃঢ়বন্ধনে গৃহে রাখা যায়, তবে ইহা অপেক্ষ। আর কি আছে ? কিন্তু জিজ্ঞাসা করি, কেবলমাত্ৰ পাচশত টাকা পাইয়াই কেন শঙ্খবিক্রেতা আপন চিরলক্ষ্মী দিতেছে ? তবে কি পাঁচশত টাকাই অচলা কমলা অপেক্ষা শ্ৰেষ্ঠ হইল ?” তখন স্বয়ং মুন্সী ও র্তাহার পাবিষ্যদবর্গের নিদ্ৰাভঙ্গ হইল, এবং আর বাক্যব্যয় না করিয়া, তৎক্ষণাৎ অচলা কমলাবিক্রেতাকে বিদায় দিলেন ।” “দ্বাবকানাথ ঠাকুরের পরিচিত জনৈক পৌত্তলিক ব্ৰাহ্মণ র্তাহার পূজার ফুলের অভাব হওয়ায় তঁহাকে জানান। দ্বারকানাথ ঠাকুর, তাহাকে রামমোহন রায়ের পুষ্পেপাদ্যানে যাইতে বলেন। ব্ৰাহ্মণ তখন কুপিত হইয়া বলিলেন যে, “সে মহাপাতকী, তাহার নামে পাতকএমন চণ্ডালের উদ্যানে আমাকে যাইতে বলেন ? পরে দ্বারকানাথ তাহাকে বিশেষ বুঝাইয়া রামমোহনের কথিত উষ্ঠানে পাঠাইয়া দেন। এই স্থানে অনেকেই আসিয়া ফুল লইয়া যাইত, কেবল নিদিষ্ট এক স্থানের ফুল তুলিবার নিষেধ ছিল ; ব্ৰাহ্মণ সেই স্থানেরই পুষ্পচয়নে প্ৰবৃত্ত হন। সেখানে রক্ষকগণ র্তাহাকে নিবারণ করিলে পর, তিনি ক্রোধান্ধ হইয়া বলেন যে, “আমার ন্যায় লোক যে, এই পাতকীটার উদ্যানে পদাৰ্পণ করিয়াছে, ইহাই ধন্য বলিয়া না মানিয়া আবার বারণ করিতেছিস ?” অদূরে থাকিয়া রামমোহন সকল শুনিতেছিলেন।