পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৭৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭২৮ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত লম্বমান রহিয়াছে। ছবিখানি দেখিয়া রামহরি অতিশয় মুগ্ধ হইলেন । ভক্তির উচ্ছাসে অভিভূত হইলেন। তঁহার দুই চক্ষু দিয়া অজস্র ধারে অশ্রুধারা প্ৰবাহিত হইতে লাগিল। ছবির প্রতি স্থির দৃষ্টি রাখিয়া গভীর ভাবের সহিত বলিতে লাগিলেন, “আহা ! মহাপুরুষ ! মহাপুরুষ !” DDg KBD BBB BDDBD BDBDED KKB DBDDBSDB BD D BDB BDBDS চরিত্রের লোক, তাহ সহজেই বুঝা যায়। গ্ৰন্থকার এই ঘটনাটির বিষয় স্বগীয় পণ্ডিতবর তারকনাথ তত্ত্বরত্বের পুত্ৰ গ্ৰন্থরচয়িতার পরমাত্মীয় শ্ৰীযুক্ত পশুপতিনাথ চট্টোপাধ্যায়ের নিকট শ্রবণ করিয়াছেন । স্বৰ্গীয় রাখালদাস হালদার মহাশয়, বৰ্দ্ধমানে ১৮৬৩ সালে, উপরি উক্ত রামহরি দাসের নিকট রামমোহন রায়ের প্র্যত্যহিক জীবন সম্বন্ধে এইরূপ শুনিয়াছিলেন,-“রামমোহন রায় প্ৰত্যহ শেষ রাত্ৰি চারিটার সময় শয্যাত্যাগ করিয়া কাফি পান করিতেন। তাহার পর কয়েক জন লোকের সহিত একত্ৰে প্ৰাতভ্ৰমণে বাহির হইতেন । সচরাচর সুৰ্য্যোদয়ের পূর্বেই তিনি বাটীতে ফিরিতেন। তৎপরে প্রাতঃকালীন কৰ্ত্তব্য সকল করিবার সময়, গোলোকদাস নাপিত তঁাহাকে সংবাদ পত্র সকল পাঠ করিয়া শুনাইতেন। তাহার পর চা পান করিতেন । তাহার পর ব্যায়াম করিতেন। তাহার পর, কিছুক্ষণ বিশ্রাম করিয়া চিঠিপত্র পাঠ করিতেন। তৎপরে স্নান করিতেন। বেলা দশ ঘটিকার সময় ভোজন করিতেন। ভোজনের সময় কোন ব্যক্তি সংবাদপত্র পাঠ করিতেন, তিনি শ্রবণ করিতেন । আহারের পর একটা টেবিলের উপর এক ঘণ্টা বিশ্রাম করিতেন । তৎপরে কাহারও সহিত কথোপকথনে প্ৰবৃত্ত হইতেন, অথবা কোন বন্ধুর সহিত দেখা করিতে যাইতেন । বেলা ৩টার সময় জলযোগ করিতেন। অপরাহু ৫টার সময় ফলভোজন করিতেন। সন্ধ্যার সময় বেড়াইতে বাহির হইতেন । রাত্রি দশটার