পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/৯

[། ། ও বৃদ্ধি প্ৰাপ্ত হইয়াছে। কোন কোন অংশ পরিত্যাগ করা সত্ত্বেও, এই চতুর্থ সংস্করণ, তৃতীয় সংস্করণ অপেক্ষা অনেক পরিমাণে বড় श्रुँभ्राgछ । এদেশ রাজার নিকট চিরকৃতজ্ঞতাঋণে বৃদ্ধ । তিনি এদেশের যে উপকার করিয়াছেন, তাহা অপরিশোধ্য। স্বগীয় অক্ষয়কুমার দত্ত মহাশয় আক্ষেপ কবিয়াছেন যে, এরূপ হিতকাৰী মহাজনেব একটি কৃতজ্ঞতা প্ৰকাশক উপযুক্ত স্মরণচিহ্ন প্ৰতিষ্ঠিত হইল না । তিনি স্বদেশীয় গ্ৰন্থকারগণকে সম্বোধন করিয়া বলিয়াছিলেন ;- “স্বদেশীয় গ্রন্থকারগণ ! সবিশেষ অনুসন্ধান পূর্বক তাহার একখানি সৰ্ব্বাঙ্গসুন্দব জীবনচরিত সঙ্কলন করিয়া স্বীয় লেখনী সার্থক ও পবিত্র করা, এবং 'ত দৃঢ়াবা তাহাব ঋণের লক্ষাংশের একাংশ পরিশোধ করা কি অতিমাত্র উচিত বোধ হয় না ?” অক্ষয়কুমার দত্ত মহাশয়ের এই আগ্রহপূর্ণ বাক্যে ও কোন উপযুক্ত ব্যক্তি রাজার জীবনী লিখিতে যত্ন করিলেন না | শুনিয়াছি, এক সময়ে স্বগীয় প্ৰসন্নকুমার সর্বাধিকারী মহাশয় বাজার জীবন-বৃত্তান্ত লিখিবেন, মনে কবিয়াছিলেন । কিন্তু তাহ্বার সংকল্প কাৰ্য্যে পরিণত হইল না। এক দিবস ভক্তিভাজন স্বগীয় রাজনারায়ণ বসু মহাশয় ও স্বগীয় আনন্দমোহন বসু মহাশয়ের সহিত এক স্থানে বসিয়া আছি, এমন সময় কথা উঠিল যে, মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের একখানি জীবনচরিত প্রকাশিত হওয়া একান্ত আবশ্যক। আনন্দমোহন বাবু রাজনারায়ণ বাবুকে অনুরোধ করিলেন যে, তিনি এই মহৎকাৰ্য্যে হস্তক্ষেপ করেন। রাজনারায়ণ বাবু বাৰ্দ্ধক্য ও অসুস্থত জন্য উহা অস্বীকার করিলেন ; কিন্তু আমাকে বিশেষ করিয়া অনুরোধ করিলেন যে, আমি রাজার জীবন-চরিত লিখিবার ভার গ্রহণ করি । আমি আপনাকে এই মহৎ