পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

झॉऽन्द्रांश दर উপস্থিত হই। তখন দেখিতাম, জীবনের শেষভাগে গভীরভাবে তিনি অধ্যাত্মিসাধনায আত্মনিয়োগ কবিয়াছেন। প্ৰায় সর্বদাই তিনি উপনিষদ, হাফিজ, মাদাম গুইয়ান প্ৰভৃতি মরমিযা সাধক সাধিকার গ্ৰন্থ লইযই সময় কাটাইতেন । আমি একবার কোন কৰ্ম্ম উপলক্ষে উত্তর-পশ্চিম প্রদেশে যাইতেছি। আমার সহিত আরও তিনচারজন সঙ্গী বহিযাছেন। পথে দেওঘব পাডিবে, তাই রাজনারায়ণ বাবুকে একবার দেখিয়া যাইতে ইচ্ছা হইল। সঙ্গীদের লইয়াই রাজনারায়ণবাবুব বাসায। আসিযা উপস্থিত হইলাম । রাজনারায়ণ বাবুর প্রতিবাশ তখন সবেমাত্ৰ শেষ হইয়া গিযছে । আমাদের আগমন সংবাদ পাইবামাত্ৰ বৃদ্ধ সাগ্ৰহে অভ্যর্থনা জানাইয়া লইযা গেলেন। কথা প্রসঙ্গে নানা আলোচনা সুক হইল এবং তন্ময় হই যা তিনি হাফিজ ও অন্যান্য গ্ৰন্থ হইতে অনর্গল আবৃত্তি কবিতে লাগিলেন। সে আবৃত্তি আমার খুবই ভাল লাগিতেছিল, কিন্তু সঙ্গীগণ র্তাহার সহিত ঘনিষ্ঠভাবে পরিচিত নহেন, তাই তাহদের কথা ভাবিয়া অস্বস্তিবোধ করিতেছিলাম। তাছাড়া, তাহারা পথশ্রমে ক্লান্ত, একথা ভাবিয়াও একটু বিব্রত বোধ না করিয়া পারি নাই। কিন্তু বৃদ্ধের সেই আবেশ-বিভোর মুখের দিকে তাকাইয়া বাধা দিতে ইচ্ছা হইল না। ইতিমধ্যেই তিনি কয়েকখানি গ্ৰন্থ হইতে আবৃত্তি আরম্ভ করিয়াছেন। এমন সময় রাজনারায়ণ বাবুর জ্যেষ্ঠপুত্ৰ যোগীন আসিয়া জানাইল যে, স্নানের জল