পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्राङनाद्भाश्q दश् রাজনারায়ণ বসুর গুৰুতর অসুখের সংবাদে বিচলিত হইয়া তাহাকে দেখিবার জন্য তিনি দেওঘর যাত্রা করেন। আমি বিস্ময়ের সহিত ভাবিতে লাগিলাম-কে এই মহামানব যাহার আসন্ন বিয়োগ-ব্যথায় দিগ দিগন্তের এত লোকের মন আজি এরূপ উদ্বেলিত হইয়া উঠিয়াছে। রাজনারায়ণবাবুর এমন অসাধারণ ব্যক্তিত্ব ছিল যে, তাহার সান্নিধ্যে আসিলে যেকোন মানুষই ক্ষুদ্রতা ও সঙ্কীর্ণতা বিস্মৃতি না হইয়। পারিত না । খ্যাতনামা সাহিত্যিক শ্ৰদ্ধেয় ভূদেব মুখোপাধ্যায় অতি নিষ্ঠাবান ব্ৰাহ্মণ ছিলেন। তিনি এক সময় সতীর্থ রাজনারায়ণ বসুর গলদেশে স্বীয় উপবীত পরাইয়া দিয়া বলিয়াছিলেন-রাজনারায়ণ, অব্রাহ্মণ কুলে জন্মালেও তুমিই প্ৰকৃত ব্ৰাহ্মণ, এ উপনীত তোমার গলাতেই শোভা পায় । তোমার আকৃত্ৰিম ব্ৰাহ্মণাত্ব আমার ভেতরে সঞ্চারিত হলে আমি নিজেকে ধন্য মনে করবো । আমি কলিকাতায় ফিরিয়া আসিবার কয়েকদিন পরই এই মহামানবের জীবন-দীপ নিৰ্বাপিত হয় । মেদিনীপুরের জনসাধারণ আজিও শ্রদ্ধাভরে তাহার স্মৃতিতৰ্পণ করিয়া থাকে। তিনি মেদিনীপুর বিদ্যালয় হইতে অবসর গ্ৰহণ করিবার পর সেখানকার অধিবাসীগণ তাহার বসবাসের জন্য একটি নূতন গৃহ নিৰ্ম্মাণ করাইয়া দেন। অবশ্য রাজনারায়ণ বাবু অতঃপর মেদিনীপুর ত্যাগ করেন এবং সে গৃহে তিনি আর gi V2