পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আনন্দমোহন বসু তীর্থ দর্শনে যাওয়ার কথা। কিন্তু কি কারণে যেন বন্ধুবরের মাতার যাত্ৰা স্থগিত হয়, অপর যাত্রীরা অবশ্য রওনা হইয়া যায়। পরে জানা গেল, প্ৰবল ঝড়ঝঞ্চায় ষ্টীমারটি সমস্ত যাত্রীসহ নিমজিত হইয়াছে। সংবাদটি আনন্দমোহনের মায়ের নিকট পৌছিলে তিনি নিজে রক্ষা পাওয়ায় একটু ও খুশী হন নাই বরং দুঃখে মিয়মান হইয়। বলিতে থাকেন—জগন্নাথ দর্শন করবার পথে যাদের মৃত্যু হয় তাদের পুণ্যের সীমা নেই। আমি কি সে ভাগ্য করে এসেছি ? তাইতো ঘটনাচক্রে আমার ওই ষ্টীমারে সেদিন যাওয়া ঘটে উঠলে না। কথাগুলি বলিতে বলিতে তাহার দুই গণ্ড বাহিয়া অশ্রু ঝরিয়া পড়িতে থাকে। আনন্দমোহনের মুখে তাহার পুণ্যময়ী মাতৃদেবীর জীবনকাহিনী শুনিতে শুনিতে আমি ও মুগ্ধ হইয়া যাইতাম । বহুদিন একাদিক্ৰমে ঘটার পর ঘণ্টা তাহাব মানের জীবনকাহিনী শুনিয়া ধন্য হইয়াছি । উত্তরাধিকারসূত্রে মায়ের চরিত্রের ঐশ্বৰ্য্য পুত্রের চরিত্রে সঞ্চারিত না হইয়া পারে নাই। আনন্দমোহনের সহিত যত গভীরভাবে মিশিয়াছি তােতই এ ধারণা বদ্ধমূল হইয়াছে যে, অমন মহীয়সী মা না হইলে এরূপ পুত্ৰ জন্মে না। আনন্দমোহনের বন্ধু ও স্বজন-গ্ৰীতি বড় প্ৰবল ছিল। যাহার সাহিতই তাহার যোগাযোগ ছিল সে-ই যেন তঁহার বিরাট > > "