পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আনন্দমোহন বসু সিক্ত যে মনটির পরিচয় পাইলাম ইতিপূৰ্ব্বে ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্যে থাকিয়া ও তাহার আভাস পাই নাই। শোকের আঘাতে তাহার ভগবৎ-সমাপিত চিত্তটি পরিস্ফুট হইয়া উঠিল । পুত্ৰশোক তাহাকে উদভ্ৰান্ত করে নাই বরং সে আঘাতে তাহার চরিত্রের সুপ্ত ভগবৎ-প্ৰেম পূর্ণতা লাভ কবে । সে সময়ে প্রতিদিন তাহার গৃহে যাইতাম, দেখিতাম বন্ধুবরের অন্তনের মাঝে কি গভীর শাস্তি— কি অতল স্পর্শী ভক্তি ! পুত্ৰেৰ মৃত্যু শুধু আনন্দমোহনের অধ্যাত্ম-চেতনার দ্বারই উন্মোচন করে নাই, সেই সঙ্গে উহা আমাদের সম্মুখে একটি নূতন আদর্শ ও স্থাপন করিল। সে সময়কার একদিনের একটি ঘটনার কথা মনে পড়িলে আজি ও অামার মােন এক অপূৰ্ব্বব অনুভূতিতে পূৰ্ণ হঠায় উঠে। একদিন সকালে আনন্দ মোহনে বা গৃহে গিয়া দেখিলাম তাহার স্ত্রী অত্যন্ত শোকান্ত হইয়! বসিয়া আছেন । ভাবিলাম, উন্মুক্ত বাতাসে সনের বদ্ধ বাষ্প হয়ত কিছুটা অপসৃত হইবে । তাহার গুহ হইতে গঙ্গা খুবই নিক ৮। স্বামী স্ত্রীকে লইয়া আমি গঙ্গাতীরে উপস্থিত হইলাম । নিজজন তটভূমিতে দাড়ি। ইবার অল্পক্ষিণ পরেই বন্ধুপত্নী শোকে অধীর হইয়া উঠিলেন । কি করা উচিত ভাবিয়া পাইতেছি না।-- হঠাৎ বন্ধু ববের মুখেদি দিকে তাকাইয়া একেবারে মুগ্ধ হইয়া পড়িলাম। প্ৰাতঃকালীন সূৰ্য্যালোক গঙ্গাবক্ষে প্ৰতিফলিত হইয়া পড়িয়াছে। তঁহার চক্ষু দুইটি গঙ্গাবক্ষে নিবদ্ধ, দৃষ্টি RS