পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

________________

আনন্দমোহন বসু চরম আঘাতের মধ্য দিয়ে এই সত্যটি আমার নিকট জগদীশ্বর উদঘাটন করেছেন। | সান্ত্বনা দিতে আসিয়া আজ শােকসন্তপ্ত বন্ধুর মুখ হইতে যাহা শুনিলাম, তাহার পর আর অধিক কিছু বলিবার ইচ্ছা মনে জাগিল না। ইহাও বুঝিলাম, ঈশ্বরের অনন্ত করুণা বর্ষণে তাহার জীবন সিক্ত হইয়াছে। এতদিন বন্ধু আনন্দমােহনকে সত্যনিষ্ঠ কর্মী, অন্তরঙ্গ সুহৃদ ও দরদী মানুষ হিসাবে জানিতাম। কিন্তু সেদিনকার প্রভাতে উদার আকাশের নীচে বসিয়া তাহার যে সাধক-জীবনের পরিচয় পাইলাম তাহা জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত ভুলিতে পারিব না। কিছুদিন মুঙ্গেরে থাকিবার পর আমরা কলিকাতায় ফিরিয়া আসিলাম, আনন্দমােহন স্ত্রীপুত্রদের সেখানে রাখিয়া নিজে ফিরিলেন। উহ। ১৮৭৮ সাল। এহ্মবান্ধব কেশব সেনেব কন্যার সহিত কুচবিহারের মহারাজার বিবাহকে উপলক্ষ করিয়া সাধারণ ব্রাহ্ম সমাজে আবার মতানৈক্য আরম্ভ হয় এবং ক্রমে তাহা গুরুতর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। আমি ও আনন্দমােহন দুইজনেই তখন সাধারণ সমাজের বিশিষ্ট সদস্য। সুতরাং এ আন্দোলনে আমরা অনিবার্যভাবে জড়াইয়া পড়ি। আনন্দমােহন তখন তঁাহার বাসায় একা বাস করিতেছেন। আমি অধিকাংশ সময়ই তাহার ওখানে থাকিতাম। ব্রহ্মবান্ধব কেশব সেনের এই সমাজবিরুদ্ধ আচরণ যে তাহাকে কি গভীরভাবে আঘাত করে তাহা আমি ভাষায় ব্যক্ত করিতে ১২৩