পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আনন্দমোহন বসু উহার যেন বিরাম নাই। আমি তখন একযোগে ‘ব্রাহ্মপাবলিক ও পিনিয়ন’ ও ‘তত্ত্ব কৌমুদী’ নামে দুইখানি পত্রিকা সম্পাদনা করিতেছি। বিশেষ করিয়া যেদিন পত্রিক। দুইটি প্ৰকাশিত হইত। তাহার। পূৰ্ব্বদিন আমায় সকাল ৮টা হইতে রাত্ৰি ৯টা পৰ্য্যন্ত পত্রিকার কার্য্যালয়ে থাকিতে হইত। তবুও আমার ছুটি ছিল না। যত রাত্ৰিষ্ট হউক কৰ্ম্ম শেষে আনন্দমোহনের গৃহে আমার যাইতেই হইত। কোন কারণে একদিন অনুপস্থিত হইলেট তিনি অসন্তুষ্ট হইতেন । একদিন সাংবাদিন কঠোর পরিশ্রমের পর আনন্দমোহনের গৃহে গিয়াছি। সমাজের সভ্যেরাও অনেকেই উপস্থিত হইয়াছেন। আলোচনা করিতে করিতে রাত্ৰি প্ৰায় বারোটা বাজিল । আমার তখন আর বসিয়া থাকিবার মত অবস্থা নাই। চলিয়া যাইবান্ধই বা উপায় কই ? লক্ষ্য করিয়া দেখিলাম, আলোচনা লাইয়া প্ৰত্যেকেই এত উন্মত্ত যে আমার দিকে কাহার ও লক্ষ্য নাই । আমি এই সুযোগ গ্ৰহণ করিলাম । চুপি চুপি চেয়ার হইতে সামনের টেবিলটির নীচে নামিয়া লম্বা হইয়। শুইয়া পড়িলান । বলা বাহুল্য, ঘুম আসিতেও বিলম্ব ঘটিল না। আলোচনা কিন্তু পূর্বববৎ চলিতেছিল। হঠাৎ এক সময় আমার মতামত জানিতে সকলে ব্যগ্র হইলেন। তাহদের বিস্ময়েব সীমা রহিল না, চেয়ার শূন্যআমি নাই। হৈ চৈ পড়িয়া গেল। সকলেই এদিক ওদিক খুজিতেছে হঠাৎ সকলকে চমকিত করিয়া আনন্দমোহন আমার N R A