পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আনন্দমোহন বসু প্ৰকৃষ্ট কাল ছিল একথা মনে করিবার কোন কারণ নাই। র্তাহার লিখিত ডায়েরী হইতে জানা যায়, অত্যন্ত কৰ্ম্মমুখর ক্ষণে ও তঁহার মন পরমেশ্বরের চিন্তায় মগ্ন থাকিত । কৰ্ম্ম র্তাহার চিত্তকে মুহূর্ডের জন্য ও ঈশ্বর-চিন্তা হইতে বিচ্ছিন্ন করিতে পারে নাই। এই অভ্যাসযোগের ফলে ভিন্নমুখী কৰ্ম্মের মধ্যেও ভগবৎ-রাসাস্বাদনে তঁহার বাধা হইত না । সমস্ত ডায়েরীটির মধ্যে পরম প্ৰাপ্তির জন্য তঁহার আন্তরিক ব্যাকুলত যে কোন জড়বাদী আধুনিক মানুষের অন্তরে স্পন্দন জাগাইয়া তুলে। পরবর্তীকালে তাহার সমগ্ৰ চিন্তুটি যে অধ্যাত্মিসাধনালব্ধ আলোক প্ৰভায় উদ্ভাসিত হইয়া উঠিয়াছিল। তাহারও বহু নিদর্শন এই ডায়েরীতে রহিয়াছে । এমন কি, জীবনের শেষভাগে বন্ধুবর আনন্দমোহন দৈনন্দিন জীবনেও ঐশী প্রেরণা লাভ করিতে সক্ষম হইয়াছিলেন । একটি দিনের ঘটনা মনে পড়ে—সেদিন বোধ হয়। রবিবার। পূৰ্ব্বদিন রাত্রেই তিনি নিজের জন্য সাত্ত্বিক ধরণের আহাৰ্য্য প্ৰস্তুত করিতে স্ত্রীকে বলেন এবং নিৰ্দ্ধারিত সময়ের পূর্বে যেন কেহ তঁহাকে বিরক্ত না করে, সে নিৰ্দেশও দেন। ররিবার অতি প্ৰত্যুষেই তিনি পাঠকক্ষে অধ্যয়নরত হন। নির্দেশিত সময়ে ভূত্যের হস্তে চা পাঠাইয়া দেওয়া হয় ৷ প্ৰায় তিন ঘণ্টা পরে তাহার স্ত্রী পুনরায় আর এক পেয়ালা চা লইয়া র্তাহার কক্ষে প্ৰবেশ করিয়া দেখেন, পূর্ব প্রেরিত চায়ের Sył