পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

द्रांङ्गं श्रदभट्र१ অহঙ্কারের বীজ অপসারিত হয়। কথাটি পরমহংসের মনে গভীর রেখাপাত করে । তিনি ইহার পর হইতে নিজে অতি দীনভাবে জীবনযাপন আরম্ভ করেন । শিষ্য ও ভক্তগণের অলক্ষ্যে প্ৰতিবেশীদের মলমূত্রাগারে প্রবেশ করিয়া তিনি তাহা পরিষ্কার করিতে থাকেন, মালপাত্ৰ নদীতে লইয়া গিয়া স্বহস্তে পরিষ্কার করিয়া আবার তাহ, স্বস্থানে রাখিয়া আসিতেন। কয়েকদিন পূজাৰ্চনা ছাড়িয়া তিনি মনপ্ৰাণ দিয়া এই ঘূণ্য কৰ্ম্মে নিজেকে লিপ্ত রাখিলেন। পরে ভক্তগণ জানিতে পারিয়া তাহাকে এই কৰ্ম্ম হইতে প্ৰতিনিবৃত্ত করে । এ জাতীয় অদ্ভুত আচরণ ব্যতীত তঁহার দৈনন্দিন আহারবিহারেও কঠোর কৃচ্ছসাধন লক্ষিত হইত। দিনের পর দিন তাহার অনাহার ও অনিদ্রায় কাটিয়া যাইত। দেহের স্বাভাবিক সহশক্তির একটা সীমা রহিয়াছে যাহা অতিক্রান্ত হইলে স্বাভাবিক নিয়মেই প্ৰতিক্রিয়া দেখা দেয়। মনে হয়, শ্ৰীরামকৃষ্ণের ক্ষেত্রেও ইহার ব্যতিক্রম হয় নাই । অল্পকাল মধ্যেই তঁহার স্বাস্থ্য একেবারে ভাঙ্গিয়া পড়ে এবং গলনালীতে দুরারোগ্য ক্যান্সার ব্যাধি দেখা দেয়। ইহার ফলেই তঁহার মৃত্যু ঘটে। রামকৃষ্ণের দেহে একটি বিস্ময়কর সুন্নায়বিক পরিবর্তনের লক্ষণ প্রায়ই দেখা দিত। যখনই তঁহার মনে কোন আবেগ বা উচছুস দেখা দিত সেই সময়ই তিনি কিছুক্ষণের জন্য অচেতন হইয়া পড়িতেন—তাহার মুখমণ্ডল একটি অপূর্ব জ্যোতিতে উদ্ভাসিত Y8 89