পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রামকৃষ্ণ পরমহংস একদিন আমি শ্ৰীরামকৃষ্ণের সম্মুখে বসিয়া তাহার সহিত কথা বলিতেছি, এমন সময় কলিকাতা হইতে কয়েকজন ধনী ভক্ত আসিয়া উপস্থিত হন । কথা অসমাপ্ত রাখিয়াই তিনি কয়েক মিনিটের জন্য ঘরের বাহিরে চলিয়া যান। এই অবসরে তঁহার ভাগিনেয় ও সেবক সদয় আগন্তকগণের নিকট মাতুলের আধ্যাত্মিক উন্নতি, সম্পর্কে নানা চমকপ্ৰদ কাহিনী বিবৃতি প্রসঙ্গে বলেন--মামার ভগবৎ-প্ৰেম এতো বেশী যে, বাইরের জগৎসম্পর্কে তার কোন চেতনাই থাকে না, সময় সময় তিনি বাহ্য জ্ঞানহীন হয়ে যান । হৃদয় শেষ কথাগুলি যখন বলিতেছিলেন সে সময় রামকৃষ্ণঃ কক্ষে প্ৰবেশ করিলেন। অপরের সম্মুখে নিজের প্রশস্তিতে তিনি খুসী হন নাই, বরং অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হইয়া হৃদয়ের উদ্দেশে বলিয়া উঠিলেন-ওরে তোর যে এত হীনপ্ৰবৃত্তি তা তো জানতাম না ! ধনী লোক, আর তঁদের পোষাক পরিচ্ছদ ঘড়ি চেন দেখে মামার সম্পর্কে উচ্চ প্ৰশংসা কচ্চিস। তুই কি আমার জন্য টাকা কড়ি যোগাড়ের মতলবে আছিস না কি রে ? এরা যদি আমার সম্বন্ধে উঁচু ধারণা পোষণ না-ই করে, তাতে আমার কি এলো গেলো ? এই কথা কয়টি বলিয়া শ্ৰীবামকৃষ্ণ উপস্থিত ব্যক্তিদের দিকে ফিরিয়া কহিলেন-দেখুন, হৃদয়ের মুখ থেকে আপনার যা শুনেছেন তাহা কিন্তু মোটেই সত্য নয় । ভগবৎ-প্ৰেম আমাকে বাহ্যজ্ঞানহীন করেছে তা সত্য নয়। মধ্যে কিছুকাল আমার ' (S