পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

४ॐ °* श९° মাতৃস্নেহের একটি অপার্থিব অমৃতধারার মাঝে তিনি পরমআশ্ৰয় লাভ করেন, ইষ্টকে মাতৃভাবে আরাধনা করিয়াই তাহার সাধনা, সিদ্ধি ও পরম প্ৰাপ্তি ঘটে । তাহার মনোজগতে ও জীবন সত্তায় “মা” ব্যতীত আর কোন বস্তুর যেন অস্তিত্বই ছিল না ! সেজন্য মায়ের গান শুনিলে তিনি ভাবস্রোতে নিমজ্জিত হইয়া একেবারে সম্বিং তারাইয়া ফেলিতেন । ইষ্টতে রামকৃষ্ণের এই মাতৃজ্ঞােন কিন্তু কোন একটি দেবীমূৰ্ত্তির মধ্যেই সীমিত ছিল না, তাহা মূৰ্ত্তিকে অতিক্রম করিয়া বিশ্বব্যাপী সত্তারূপে সৰ্ব্বত্র পরিব্যাপ্ত হইয়াছিল । তিনি যখন তাহার মায়ের কথা বলিতেন তখন সে মাতৃরূপের বর্ণনা চতুভূজা কালীমূৰ্ত্তির সীমাকে ছাড়াইয়া অনস্তবাপিনী মাতৃমূৰ্ত্তিকেই যেন রূপায়িত করিয়া তুলিত । শ্ৰীরামকৃষ্ণের সাধনায় কালী ও কৃষ্ণের এক পরম মধুর সমন্বয় ঘটিয়াছিল। তিনি বলিতেন-মানুষ মূখ, তাই কালী ও কৃষ্ণের বৈষম্য নিয়ে মিথ্যেই ঝগড়া করে । আসলে, ষিনি কালী তিনিই যে কৃষ্ণ ! রামকৃষ্ণের আধ্যাত্মিক চেতনায় জগজননীর যে বিশ্বব্যাপিনী মাতৃরূপ প্ৰকাশ লাভ করে তাহাতে খণ্ডত অপূর্ণতা বা বৈষম্যের কোন স্থান ছিল না । তাই বিভিন্ন সৰ্ব্ব ধৰ্ম্মের মধ্যেকার সমন্বয়ের মূল সূত্রটি তিনি অনায়াসেই ধরিতে সক্ষম হন। এ প্রসঙ্গে একটি ঘটনা আজ মনে পড়িতেছে। ভবানীপুরের এক খৃষ্টান ধৰ্ম্মপ্রচারকের সহিত সে সময় Y t\5