পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রামকৃষ্ণ পরমহংস করিতে করিতে কহিলেন-চুপ করতো তোরা, ঈশ্বরের গুণাগুণের কথা এভাবে বিচার করে কি লাভ বলা দেখি। তার মহিমা বুঝতে হ’লে স্মরণ, মনন, ধ্যান ধারণা দিয়ে তা করতে হয়, তর্ক করে কি তা বুঝা যায় ? ঈশ্বর যে করুণাময় একথা কি যুক্তি দিয়ে সত্যিই আমায় বোঝাতে পারিস ? এই যে সেদিন সাবাজপুরে বন্যা। আর ঝড়ে শত শত লোকের প্রাণ নষ্ট হ’ল এ কি করুণার নিদর্শন ? তোরা হয়তো বলবি, এই ধ্বংসের ফলে ভবিষ্যতের নতুন সৃষ্টির পথ পরিষ্কার হল ! কিন্তু আমি তর্ক করে বলবো।— যিনি সৰ্ব্বশক্তিমান, একদিকে সৃষ্টি করতে হলে কি তঁকে আবার আর এক দিকে ধ্বংস করতে হবে ? শত শত অসহায় শিশু, নারী, বালক, বৃদ্ধের কান্নার মধ্যে দাড়িয়ে কি ঈশ্বরের করুণার কথা কল্পনা করা যায় রে ? একজন ভক্ত শ্রোতা অসহিষ্ণু হইয়া বলিয়া উঠিল—তবে কি বলতে হবে, ঈশ্বর নিষ্ঠুর ! শ্ৰীরামকৃষ্ণ দৃঢ়কণ্ঠে বলিয়া উঠিলেন-আরে বোকা, কে তোকে তা বলতে বলছে ? ঈশ্বরের গুণাগুণ নির্ণয় কে করবে ? তার অনন্ত মহিমার আস্ত কে করবে !! তাইতে বলছি, কাতর হয়ে, যুক্ত করে শুধু এই প্রার্থনা করা-ঈশ্বর ! তোমার মহিমা বুঝবার মত ক্ষমতা আমাদের নেই, তুমি কৃপা করে আমাদের জ্ঞান নেত্র খুলে দাও । এই বলে তিনি একটি সুন্দর গল্প সকলের সম্মুখে বিবৃতি করিতে লাগিলেন । እ ር፧ “ነ