পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

शन्न श्रृ८ झ ञ निCक्ष} যানটির সঙ্গে জুড়ে দাও। তবে সেও ওটার মত অল্প সময়ের মধ্যেই নির্দিষ্ট স্থানে পৌছবে। যারা মুক্তি চায় তাদের ক্ষেত্রেও সেই একই ব্যবস্থা । তুমি যদি গুরুর নির্দেশ ছাড়াই এপথে চলতে আরম্ভ কর, তা হলে বহু বিস্ত্ৰ বিপত্তি অতিক্রম করে গন্তব্য স্থানে পৌঁছতে তোমার সময় ও পরিশ্রম কম যাবে না। কিন্তু গুরু সহায়ে সহজে ও স্বল্প সময়ে তা সম্ভব হয় । এই হচ্ছে ধৰ্ম্মজীবনে গুরু সহায়ের তাৎপৰ্য্য । অপর একদিন এক ভক্ত তাহাকে প্রশ্ন করেন-- জ্ঞান ও ভক্তি এই দুইয়ের মধ্যে কোনটি বড় ? সংস্কৃত সাহিত্যে অনভিজ্ঞ সাধকের ব্যাকরণগত ত্রুটি আমােব শিক্ষিত মনকে ঝাঁকুনি দেয় সত্য, কিন্তু তঁহাব অনাড়ম্বর সরল ও প্ৰাণস্পর্শী ব্যাখ্যা আমার মনকে বিশেষভাবে তাহার প্রতি আকৃষ্ট না করিয়া পারে না । সংস্কৃত ব্যাকরণে “জ্ঞান” ক্লীবলিঙ্গ, কিন্তু নিরক্ষর রামকৃষ্ণ জ্ঞানকে পুরুষরূপে ব্যাখ্যা করিলেন। তিনি বলিলেন-জ্ঞান পুরুষ, সেজন্য তাকে সকল সময়ই মহামায়ার অন্তঃপুরের বাইরে অপেক্ষা করতে হয়—ভেতরে প্রবেশের অধিকার তার নেই। কিন্তু ভক্তি নারী, মায়ের অন্তঃপুরে তার অবাধ গতি, মায়ের প্রত্যক্ষ সান্নিধ্যলাভে তার কোন বাধাই নেই। জ্ঞানের পথ আয়াস সাপেক্ষ, কিন্তু ভক্তির সরসতা গমন পাথকে স্নিগ্ধ করে, পথের বাধার রুক্ষতা দূর করে দেয়। জ্ঞানযোগ ও ভক্তিযোগের মত দুরূহ তত্ত্বকে এমন সহজভাবে Syo