পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রামকৃষ্ণ পরমহংস তাই এতক্ষণ এত আনন্দের মধ্যেও যেন কিসের অভাব বোধ হচ্ছিল। এখন আমার মন পূর্ণ আনন্দ লাভ করেছে। ইহা বলিয়াই শ্ৰীরামকৃষ্ণ দ্বিগুণ উৎসাহে নাম গান ও মৃত্যে মগ্ন হইয়া গেলেন । এই অল্প কয়েকটি কথার মধ্য দিয়া আমার প্রতি সাধকের গভীর স্নেহের স্পর্শ পাইয়া ধন্য হইয়া व्लभ । আরও একটি ঘটনা মনে পড়িতেছে। অনেকদিন পর সেদিন দক্ষিণেশ্বরে গিয়াছি। পরমহংসকে তাহার কক্ষে না দেখিয়া ইতস্ততঃ ঘোরাঘুরি করিতেছি। হঠাৎ যে দৃশ্য দেখিলাম তাহাতে আর বিস্ময়ের সীমা রহিল না। তিনি একটি গাছের নীচে দাড়াইয়া তীর ধনুক সহযোগে একদল কাক তাড়াইতে ব্যস্ত । হাবভাবে মনে হইতেছে, সে সময়ে ইহা অপেক্ষা আর কোন কােজই তাহার জীবনে বেশী গুরুত্বপূর্ণ নয়। র্তাহার এই শিশুসুলভ ব্যস্ততা কৌতুহলোদ্দীপক। সহস্যে প্রশ্ন করিলাম--কি ব্যাপার ? আপনি দেখছি। একজন তীরন্দাজ হয়ে উঠলেন। আমার কণ্ঠস্বরে চমকিয়া পিছন ফিরিয়া রামকৃষ্ণ আমাকে দেখিলেন । দীর্ঘদিনের পরে দেখা, তাই আমার উপস্থিতি র্তাহাকে স্নেহবিহবল করিয়া তুলিল। তীরন্ধনুক তৎক্ষণাৎ মাটিতে ফেলিয়া তিনি ছুটিয়া আসিলেন ও আমাকে বুকে জড়াইয়া ধরিলেন। অল্পক্ষিণ মধ্যেই দেখা গেল, তিনি গভীর ভাবাবেশে বাহিত্যু জ্ঞানহীন Yg