পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

३७ °iष९★ পছন্দ করিতাম না । সুতরাং উহাদের সহিত তাতার ঘনিষ্ঠতা আমার মনে তিক্ততারই সৃষ্টি করে । দ্বিতীয়তঃ, শ্ৰীরামকৃষ্ণের কয়েকজন শিষ্য তঁহাকে সৰ্ব্বশক্তিমান ঈশ্বর বলিয়া প্রচার করিতে আরম্ভ করেন । আমি এই মতবাদ কোন সময়ই মানিতে পারি নাই। পাছে এই প্ৰসঙ্গ লইয়া অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি ৩য়, এ আশঙ্কায় আমি দক্ষিণেশ্বরে যাতায়াত বন্ধ করি । অনেকদিন পরের কথা । একদিন আমারই এক বিশেষ পরিচিত ব্যক্তির নিকট রামকৃষ্ণের অসুখের সংবাদ পাইয়া বড় বিচলিত হইয়া পড়ি । সমস্ত কাজ কৰ্ম্ম ফেলিয়া তখনি আমি দক্ষিণেশ্বরের অভিমুখে যাত্ৰা করি। তখন তাহাকে চিকিৎসার্থ স্থানান্তরিত করার কথাবাৰ্ত্ত চলিতেছে । আমাকে দেখিয়া তো কিছুক্ষণ তিনি রুদ্ধ অভিমানে চুপ করিয়া রহিলেন। আমি কেন র্তাহার এত অসুখেও দেখিতে আসি নাই। ইহা লইয়া বারবার অনুযোগ করিতেও ছাড়িলেন না । আমার ব্যবহারে তিনি আন্তরিক ব্যথা পাইয়াছেন দেখিয়া আমিও দুঃখিত না হইয়া পারি নাই। আমি অকপটে তঁহাকে না আসিবার কারণ দুইটি জানাইয়া দিলাম ; আরও বলিলামআপনার শিষ্য ও ভক্তেরা আপনাকে ঈশ্বরের এক নূতন সংস্করণরূপে যেভাবে প্রচার আরম্ভ করেছে, তাতে- আমি সাধারণ মানুষ, ঈশ্বরের এত ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্যে আসতে ভরসা পাইনে। সরল অনাবিল হাস্যে সমস্ত কক্ষটি মুখরিত করিয়া রামকৃষ্ণ δυο