পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

7: २ठंब्या गद्रकांद्र রোগীর রোগের সম্ভাব্য পরিণতি সম্পর্কে কি আমরা কোন নিশ্চিত সিদ্ধাস্তে কখনো আসতে পারি ? জীবন মরণের ওপর আমাদের করবার কিছুই নেই, এ সম্পর্কে সম্পূর্ণ সচেতন থেকেও চিকিৎসা করি।-যদি তাতে রোগীর কষ্টের কিছুটা লাঘব হয়, তার কল্যাণ হয়, এই ভরসায়। আমরা পরিস্থিতির সামনে দাড়িয়ে সংগ্রাম করি, যত্ন নিই। করি সবই কিন্তু শেষ পরিণতি যা হবার তাকে তো এতটুকুও পরিবৰ্ত্তিত করতে পারিনে । ডাক্তার সরকারের এই অকপট স্বীকৃতি তঁহার সম্পর্কে আমাকে শ্ৰদ্ধাশীল করিয়া তুলিল। রোগিনী সম্পর্কে তাহার আশঙ্কা ও আগৌণে সত্যে পরিণত হয়, পরদিনই মহিলাটির মৃত্যু ঘটে । ডাক্তার সরকারের কথাগুলি আমার মনের কোণে আনাগোনা করিতে থাকে । বন্ধুপত্নীর মৃত্যুর কিছুদিন পর আমি ভবানীপুরের খ্যাতনামা আইন ব্যবসায়ী মহেশচন্দ্ৰ চৌধুরীর গৃহে কয়েক মাস অবস্থান করি। শ্রদ্ধেয় মহেশ বাৰু আমার বিদ্যালয়-জীবনে যথেষ্ট সাহায্য ক রিয়াছিলেন এবং সে সময় তিনি আমার অভিভাবক ছিলেন বলিলেও অত্যুক্তি হইবে না। র্তাহার উন্নত নৈতিক চরিত্র ও আইন ব্যবসায়ে পারদর্শিতা সে সময়ে দেশবাসীর অকুণ্ঠ শ্ৰদ্ধা অৰ্জন করিয়াছিল। ডাঃ মহেন্দ্রলাল সরকারও মহেশবাবুর উদার চরিত্রে মুগ্ধ হইয়া তাহার সহিত সখ্যসূত্রে আবদ্ধ হন। তদবধি তঁহার গৃহে কাহারও অসুখ বিমুখ হইলে তিনিই চিকিৎসা করিতেন । >之