পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ডাঃ মহেন্দ্ৰলাল সরকার সহিত ইংরাজি ভাষায় আমার রোগের ইতিহাস ও উপসর্গগুলিও লিখিয়া রাখিলাম । পরদিন ডাক্তার সরকার আবার আসিলেন। তাহাকে রোগবিবরণীর সহিত পত্ৰখানি দিবার সঙ্গে সঙ্গেই যেন আমার মানসিক উত্তেজনা শাস্য হইয়া গেল। ডাক্তারের গাড়ীটি পথের বঁাকে অদৃশ্য হইয়া যাইবার পরমুহূৰ্ত্তেই মনে হইল - ইহা কি সমীচীন হইল ? আমার মত পরনির্ভরশীল দরিদ্র সস্তানের পক্ষে ডাক্তার মহেন্দ্ৰলাল সরকারের মত সম্রাস্ত ব্যক্তিকে এ জাতীয় পত্র লেখা শুধু অপরাধই নয়-এ যেন এক আমাজনীয় অপরাধ। পত্রের প্ৰতিক্রিয়ার ফলে আমার ভাগ্যে যে এখানকার আশ্ৰয়ত্যাগ অনিবাৰ্য্য হইয়া উঠিবে তাহাও বুঝিলাম। সামান্য অপ্রাসঙ্গিক কথাবাৰ্ত্তাই যিনি সহিতে পারেন না। তাহার পক্ষে এ চিঠি বিস্ফোরণের কাৰ্য্য না করিয়া পরিবে না। তিনি এ পত্র সম্পর্কে মহেশবাবুকে জানাইলেই এ গৃহের দ্বােব আমার সম্মুখে চিরতরে রুদ্ধ হইয়া যাইবে সন্দেহ নাই । কিন্তু বিস্ময়ের সহিত সেদিন ইহা লক্ষ্য করিলাম যে, সকল ক্রিয়া-প্ৰতি ক্ৰয়া চিরাচরিত পথ বাহিয়া চলে না । আমার ঔদ্ধতাব পটভূমিকায় অতঃপর মহেন্দ্রলাল সবকারের যে ক্ষমাসুন্দর মহান চরিত্রটি ফুটিয়া উঠিল। তাহার তুল্য ঘটনা মানুষের এ ধালিমলিন সংসারে বেশী ঘটিতে দেখা যায় না । ডাক্তার সরকারকে এরূপ ঔদ্ধত্যপূর্ণ পত্ৰ দিবার পর হইতেই Sy")