পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহান পুরুষদের সান্নিধ্যে বিবেকের দংশনে ও অশাস্তির মধ্যে দিন কাটাইতেছি। এ ঘটনার ঠিক দুইদিন পরে, একদিন সকালে আমার কক্ষে বসিয়া পড়িতেছি। এমন সময় খবর পাইলাম, ডাঃ মহেন্দ্ৰলাল সরকার নাকি কেবলমাত্ৰ আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করিবার জন্যই এ বাড়ীতে উপস্থিত হইয়াছেন। বুঝিলাম, পত্রের প্রতিক্রিয়া আরম্ভ হইয়া গিয়াছে এবং ইহার শেষ অধ্যায়টি এখনই সমাপ্ত হইবে। ইহার ফলে চৌধুরী গৃহের দরজাও যে আজ আমার সম্মুখে চিরতরে বন্ধ হইবে, তাহা বুঝিতে দেরী হইল না । ডাক্তার সরকারের সহিত আসন্ন সাক্ষাতের ও তাহার পরবত্তী ঘটনাগুলি মনশচক্ষে ভাসিয়া উঠিল। আমার অশোভন আচরণের কথা জানাজানি হইলে এ পরিবারের প্রত্যেকের সহানুভূতি যে আমি হারাইব, তাহাণ্ড তখনি বুঝিতে পারিলাম। যে ব্যক্তি ডাকিতে আসিয়াছিল। সে আমার চিস্তস্রোতে বাধা দিয়া বলিল-ডাক্তারবাবু দেখছি তোমার প্ৰতি খুব আকৃষ্ট। কি ব্যাপার বল তো ? বিস্ময়ের সহিত তাহার মুখের দিকে দৃষ্টি মেলিয়া বলিলাম--- কিসে তোমার এ ধারণা জন্মালো ? -ডাক্তারবাবুর মত কৰ্ম্মব্যস্ত লোক শুধুমাত্র তোমার সঙ্গে দেখা করবার জন্যই কাজ ফেলে আমাদের বাড়ী এসেছেন, এতো যে সে কথা নয় । তাছাড়া, কাক যখন ডাঃ সরকারকে বললেন- কি ডাক্তারবাবু! সে পাগল দেখি আপনাকে এতদূর টেনে এনেছে। তিনি একটু হেসে উত্তর দিলেন-ভগবানের কাছে প্রার্থনা করি বাঙ্গলার ঘরে ঘরে যেন এমন পাগলাই জন্মায়। Str