পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ডাঃ মহেন্দ্ৰলাল সরকার ব্যবহারে আমি সত্যই ব্যথা পেয়েছিলাম। আপনি সাধারণ মানুষের ত্রুটি বিচূতি ক্ষমা করতে পারবেন না, এ যেন আমি চিন্স করতেই পারিনে। আপনার সেদিনের উক্তি গিরীশবাবুকে কতটা চঞ্চল করেছিল জানিনা, কিন্তু আমি যে বেদনা পেয়েছিলাম তা ভাষায় প্ৰকাশ করতে পারিনে। আপনাকে পত্র দিই সেই বেদনাহত মন নিয়েই। অব9) পত্ৰখানি আপনার হাতে তুলে দেবার পর থেকেই অনুতাপে পুড়ে মরছি । ডাক্তার সরকার আমার কথাগুলি খুব মনোযোগ সহকারে শুনিলেন, তারপর মাথা নাড়িয়া বলিলেন ।--তুমি ঠিকই বলেছি, আমি সেদিন অশোভনভাবেই রূঢ় হয়ে পড়েছিলাম। পরে আমি আমার ভ্ৰম বুঝতে পেরে গিরীশবাবুর নিকট অপরাধ স্বীকার করেছি । কথাবাৰ্ত্তা বলিতে বলিতে গাড়ীখানি তাহার গৃহের সম্মুখে আসিয়া থামিল। ডাঃ সরকার আমাকে লইয়া তাহার কক্ষে প্ৰবেশ করিলেন । অতঃপর হাসিয়া বলিলেন। --তোমায় কেন আনলাম জানো ? পত্রের ভেতর তোমার যে স্পষ্টবাদিত ও সৎসাহসের পরিচয় পেলাম তাতে আমি তোমার প্রতি অনুরক্ত হয়ে পড়েছি। ভগবানের কাছে প্রার্থনা করি—এ সাহস ও সততা নিয়ে জীবনে তুমি স্বপ্রতিষ্ঠ হও । বিস্ময়ে তাহার মুখের দিকে তাকাইয়া রহিলাম--শ্রিদ্ধায় আমার মাথা তাহার পয়ে নত হইয়া আসিল । একটি অপরিণত যুবকের নিকট হইতে নিজ আচরণের এরূপ তীব্র সমালোচনা yy