পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহান পুরুষদের সান্নিধ্যে স্বাভাবিক ও স্বতঃস্ফৰ্ত্ত অভিব্যক্তি। সুতরাং একে কৃত্রিমভাবে গড়ে তোলার প্রচেষ্টা পণ্ডশ্রম মাত্ৰ । আমি বলিলাম-ধৰ্ম্ম যে মানবমনের স্বতঃস্ফৰ্ত্ত অভিব্যক্তি এ আমি অস্বীকার করিনে, কিন্তু মানুষের মনের স্বভাবজ সকল বৃত্তিগুলিই উন্নয়ন সাপেক্ষ । শিশু যে সব বৃত্তি ও সংস্কার নিয়ে পৃথিবীর মাটিতে আসে-শিক্ষা, সংস্কার, অধ্যবসায় প্রভৃতির দ্বারা সেগুলোকে পরিবদ্ধিত বা সংশোধিত করলে তবে সে পরিণত বয়সে সার্থক নাগরিকরূপে প্ৰতিষ্ঠিত হতে পারে ! ধৰ্ম্ম সম্পর্কেও কি সেই নিয়মই প্ৰযোজ্য নয় ? মানুষের অন্তনিহিত সুপ্ত ধৰ্ম্মবোধকে জাগ্রত ও বিকশিত করবার জন্যই উপযুক্ত মনন, নিয়মানুষ্ঠান, পূজাপদ্ধতি ও ধৰ্ম্মপথের নির্দেশাদি রয়েছে । শুধু ধৰ্ম্ম কেন, মানব মনের কোন বৃত্তি ও প্রবণতাই বাহ্যিক নয়, তা অস্তরের বস্তু। তবু কেন মানুষ জ্ঞান, বিজ্ঞান, শিল্প, সঙ্গীত প্ৰভৃতি শিক্ষার জন্য বিদ্যালয়ে ও বিশেষ প্ৰতিষ্ঠানে যায় ? তাহলে। তো কোন বৃত্তিরই উন্নতি সাধনের প্রয়োজন নেই!! আর তাই যদি হয় তবে আপনিই বা সায়েন্স অ্যাসোশিয়েশন প্রতিষ্ঠার জন্য এত পরিশ্রম কচ্ছেন কেন ? আমাদের সকল প্ৰবৃত্তিরই যদি সংস্কার ও উন্নতি সাধনের প্রয়োজন হয়, তাহলে ধৰ্ম্মের মত এমন একটি অতি প্ৰয়োজনীয় বৃত্তির বিকাশের জন্য কি কোন শিক্ষারই প্রয়োজন নেই বলতে চান ? ধৰ্ম্ম প্ৰতিষ্ঠান, ধৰ্ম্ম বিষয়ে পথনির্দেশের কেন্দ্ৰ ব্যতীত আর কিছুই নহে। তাছাড়া, আপনি যে সম্প্রদায়িকতা সৃষ্টির কথা বলছেন তা কেবল ধৰ্ম্মকে কেন্দ্র করেই বেড়ে ওঠেন। Ο δ8