পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ডাঃ মহে? লাল সরকার সরকারের গৃহে দেখা করিতে যাই। আমাকে তিনি গাঢ় আলিঙ্গনবদ্ধ করিয়া বলিলেন-এ যাত্ৰা তুমি যে আবার ফিরে এসেছ, এজন্য ভগবানকে কি ধন্যবাদ দেব জানিনে। মুখের দিকে তাক ইয়া দেখি আনন্দে তাহার দুই গণ্ড বাহিয়া অশ্রু ঝরিতেছে । ব্যবহারিক জীবনের চরিতার্থতা লাভের পরও মানুষ এমন কিছু চায় যােহা সম্পূর্ণ-ই বস্তুজগতের বহির্ভূত জিনিষ—ইহা হইতেছে প্ৰেম, প্রীতি, ভক্তি ও আনন্দ । আমার মনের সেই রাজ্যে ডাঃ সরকারের অবদান অপরিসীম । জীবন সংগ্রামে শ্ৰান্ত, ক্লান্ত মন বহুদিন এষ্ট কৰ্ম্মযোগী ও সাধকে বা সান্নিধ্যে আসিয়া নূতনতর প্রেরণা লাভ করিয়াছে। "ণ্ঠাহার গ্রন্থাগারটি ছিল আমাদের মধ্যেকার সংযোগস্থল। দৈনন্দিন জীবনের সমস্যা, সামাজিক সংস্কার, ধৰ্ম্ম-আন্দোলন প্ৰভৃতি বিভিন্ন বিষয়ে আমি তাহার সহিত আলোচনা করিতাম, পরামর্শ লাইতাম । তুর্তাহার বিচার ও মীমাংসা সম্পর্কে আমার বিশেষ আস্থা ছিল । অপ্ৰিয় সত্য বলিতে তিনি কোন সময়েই দ্বিধাবোধ করিতেন না, তাছাড়া, তাহার মতামত সকল সময়ই ব্যক্তিগত স্বার্থবোধশূন্য ছিল। যদিও পারিপাশ্বিকতার জন্য সকল ক্ষেত্রে তাহার সব মতামত বা প্ৰস্তাব গ্ৰহণ করা আমার পক্ষে সম্ভব হইত না। তবু ইহা জনিতাম যে, তঁহার প্রস্তাব কোন দলীয় পক্ষপাতদুষ্ট নয় । ডাঃ সরকার প্রকৃত সাধক ছিলেন । কিন্তু সম্প্রদায় গঠন,