পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

7: 'शांख्या व्रक গীজার যত নিকটে বাস করবে, ঈশ্বর থেকে ততদূরে সরে যাবে। তুমি এ কি করেছ হে ? আর জায়গা পেলে না, শেষ পৰ্য্যস্ত। সমাজ মন্দিরের পাশে এসে বাস করলে ? এখনও সময় আছে, অন্যত্র সরে যাও, নইলে শেষ পৰ্য্যন্ত সমাজের দরজা আগলানোই সার হবে।-ইহা বলিয়াই উচ্চকণ্ঠে হাসিয়া উঠিলেন। আর একদিনের কথা । ব্ৰহ্মবান্ধব কেশব সেন তখন অসুস্থ । ডাঃ সরকার ও ডাঃ দুর্গাচরণ ব্যানজিকে তাহার গৃহে লইয়া যাওয়া হইয়াছে । দুইজন চিকিৎসকই রোগীকে একতলা হইতে দোতলায় লইয়া যাওয়ার প্রস্তাব করিলেন । তখনই তঁহাকে উপরে লওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। ডাঃ সরকার ও ডাঃ ব্যানাঞ্জি ধরাধরি করিয়া কেশববাবুকে উপরে তুলেন। ডাঃ সরকার কেশববাবুর মাথাটি ধরেন । এই ঘটনার অনেকদিন পরে একদিন ব্ৰাহ্মসমাজে গুরুপূজা সম্পর্কে আলোচনা আরম্ভ হইলে ডাঃ সরকার বলেন--আমি কিন্তু কেশববাবুর মাথাটিই ধরেছিলাম, হৃদয়ের খবর বলতে পারিনে । তাহার এ কথার তাৎপৰ্য্য বুঝিতে চাহিলে তিনি বলেন-- ধৰ্ম্ম-জগতেও অপরের শ্রদ্ধাভক্তি পাবার আকাঙ্ক্ষা এবং তা পাওয়ার গৌরব মানুষের হৃদয়ে অনেকখানি আলোড়নের সৃষ্টি করে। সেজন্যই বলছি, যশ ও প্ৰতিপত্তিলাভে র্তার হৃদয়জগতের যদি কোন গতি-পরিবাৰ্ত্তন হয়ে থাকে। তার জন্য আমি দায়ী নই। কারণ, আমি তার মাথাই সেদিন ধরেছিলাম ।