পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিদ্যাসাগর দুঃখ লাঘব করিতে ছুটিয়া আসিতেন। বন্ধুপত্নীর মৃত্যুর পর আমাদের যৌথ জীবনযাত্রায় ছেদ পড়ে। আমার বন্ধুটি অন্যত্র চাকুরী লইয়া চলিয়া যান। আমিও অতঃপর সেখান হইতে চলিয়া আসি ও শ্ৰীযুক্ত কেশব সেনের প্ৰবৰ্ণি ধ্ৰুত ব্রাহ্মসমাজে প্রকাশ্যে যোগদান করি । আমার ধৰ্ম্মান্তর গ্ৰহণ ব্যক্তিগতভাবে নিষ্ঠাবান পণ্ডিত বিদ্যাসাগরকে তেমন পীড়িত করে নাই। কিন্তু তিনি আমার বুদ্ধ পিতামাতার কথা চিন্তা করিয়াই নিরতিশয় ব্যথিত হইতেন । ইহা আমি আমারই কোন এক বিশেষ পরিচিতের নিকট হইতে জানিতে পারিলাম। কিন্তু বিদ্যাসাগরের সহিত আলাপ আলোচনায় এক দিনের জন্যও আমি তাহার কোন অসন্তোষ দেখি নাই । ব্যক্তিগতভাবে ব্ৰাহ্মসমাজের সহিত তাহার অতি ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল।—মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের তত্ত্ববোধিনী সভার এক সময় তিনি সেক্রেটারী ছিলেন এবং উক্ত প্ৰতিষ্ঠান কর্তৃক প্ৰকাশিত তত্ত্ববোধিনী পত্রিকায় নিয়মিত ভাবে লিখিতেন। কিন্তু যুক্তির কথা বাদ দিয়াও সেই যুগে পুত্রের অন্যধৰ্ম্ম গ্ৰহণ, ধৰ্ম্মনিষ্ঠ পিতামাতার অন্তরকে স্বাভাবিক ভাবে যে কতখানি ব্যথা দিতে পারে তাহা তিনি নিজের মধ্যে অনুভব না করিয়া পারেন নাই । ধৰ্ম্ম সম্পর্কে বিদ্যাসাগরের কোন গোড়ামি তো ছিলই না বরং তিনি এই বস্তুটিকে একেবারেই পছন্দ করিতেন না। Sv)