পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ጓ5†•I°jቀሳ”ቫd ጓííàኗ4j আমার পিতৃদে বের সহিত সাক্ষাৎকালীন কথাবাৰ্ত্ত হইতেই ই হার প্রত্যক্ষ প্ৰমাণ পাওয়া যাইবে । আমার ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মে দীক্ষ - গ্রহণের অল্প কিছুকাল পরে পিতৃদেব মনোদুঃখে অবশিষ্ট জীবনযাপনের জন্য কাশীতে যান। কাশীবাসের প্রাক্কালে একবার তিনি কলিকাতায় আগমন করেন । সেই সময় পুণ্ডিত বিদ্যাসাগরেব সাহিত তাহার সাক্ষাৎ হয়। কাশীবাস করিয়া অধিক পুণ্য সঞ্চায়ের আকাঙ্ক্ষাকে পণ্ডিতপ্ৰােধর গোড়ামির নামা স্তর বলিযাই মনে করিতেন । বিদ্যাসাগর মহাশয় আমার পিতার সহিত সাক্ষাতের পরই তাহাকে বলেন,-আচ্ছা হারাণ, কাশীবাস তো আরম্ভ করলে কিন্তু গাঁজ। সেবনের অভ্যাস করতে পারলে কি ? পিত। বিস্মিত হইয়া উত্তাব দিলেন,- কাশীবাসের সহিত গাজ। সে বনের কি সম্পর্ক ? বিদ্যাসাগর মহাশয় হাসিয়া বলিলেন,-আরে, তুমি দেখছি আসল ব্যাপারটাই জান না। ধাৰ্ম্মিকেরা বলেন, কাশীতে মৃত্যু হলে শিব ত্ব প্ৰাপ্ত হয়, সেই শিবই তো গঞ্জিকা সেবনের জন্য বিখ্যাত । তুমি যদি এখন থেকে এবস্তু সেবনের অভ্যাস নি। কর, তাহলে মৃত্যুর পর কি দশা হবে ? উপরোক্ত কথাবাৰ্ত্ত হইতে বুঝা যায় যে, পিতার এই গোড়ামি বিদ্যাসাগর মহাশয় সমর্থন করেন নাই । যাহা হউক, আমার ধৰ্ম্মান্তর গ্ৰহণকে পিতা কিন্তু ক্ষমা করিলেন না। সুতরাং স্ত্রী ও শিশুকন্যাকে লইয়া আমি কলিকাতায় ভিন্ন বাসা ফুল্লিতে 8