পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহান পুরুষদের সান্নিধ্যে পালনে বা সত্য রক্ষায় যত বাধা বিপত্তিই থাকুক, তিনি নিজ জীবনে কখনও তাহা হইতে বিচু্যত হন নাই, তেমনি কেহ সত্য পালনে অশেষ ক্লেশ সহ্যু করিতেছে বা করিয়াছে জানিলে তিনি অমনি তাহার প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধাসম্পন্ন হইয়া উঠিতেন। আমি যে সময়ের কথা বলিতেছি তখন এদেশে ইঙ্গ-বঙ্গ বৈষম্য অতি প্রবল। ইংরেজ পুৰুষেরা শত অন্যায় করিলেও ভারতবাসীর পক্ষে তাহা নীরবে সহ্যু করিয়া যাওয়া ছাড়া উপায় ছিল না । যদি কোন স্পষ্টবাদী ন্যায়নিষ্ঠ ব্যক্তি ইহার বিরুদ্ধে কখনো প্ৰতিবাদ জানাইতেন তবে রাজরোষ তাহার জীবনকে বিষময় করিয়া তুলিত । সে সময়কার একটি ঘটনার কথা মনে পড়িতেছে। আমার পিতা ছিলেন। আমাদের গ্রামের বিদ্যালয়ের হেড পণ্ডিত । মিঃ উড়ো তখন সরকারী বিদ্যালয়ের পরিদর্শক । আমার পিতা নিজ প্রয়োজনে একখানি পত্ৰ উড়ো সাহেবকে লিখিয়া আমাকে উঠা পৌছাইয়া দিতে বলেন। যথাসময়ে পত্ৰখানি লইয়া আমি সাহেবের অফিসে উপস্থিত হই, তিনি তখন পাশের কক্ষে প্ৰেতরাশ সম্পন্ন করিতেছেন। অফিস কামরায় বসিয়া অপেক্ষা করিতে লাগিলাম। কিছুক্ষণ পরে সাহেব সেই কক্ষে প্ৰবেশ করলেন । আমি নমস্কার জানাইয়া পত্ৰখানি তাহার দিকে অগাইয়া দিতেই কঠোর দৃষ্টিতে তিনি আমার আপাদমস্তক লক্ষ্য করিতে লাগিলেন, আমার হস্ত হইতে চিঠিটি কিন্তু গ্ৰহণ করিলেন না। ব্যাপার কি বুঝিতে না পারিয়া কিছুটা বিব্রতভাবেই তঁহার २>७