পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহান পুরুষদের সান্নিধ্যে কথোপকথনটি যথাযথ ভাবে লিখিয়া দিই। অতঃপর তিনি ইংরেজপুরুষদের হীন মনোভাবের তীব্ৰ প্ৰতিবাদ জানাইয়া সোমপ্ৰকাশে এ ঘটনাটি প্ৰকাশ করেন। সংবাদটি যথাসময়ে উড়ো সাহেবের নিকট পৌঁছিলে তিনি এতই ক্রুদ্ধ হন যে ভবিষ্যতে আমি যেন শিক্ষা-দপ্তরে প্রবেশের অনুমতি না পাই-এই মৰ্ম্মে অবিলম্বে অফিসে এক বিজ্ঞপ্তি প্রেরণ করেন । ) • আমার নিভীকতার প্রশংসা করিয়া মাতুল সেদিন তাহার নিজের তেজোদৃপ্ত চরিত্রটি আমার সম্মুখে তুলিয়া ধরিলেন। আমি তখন অপরিণত বয়স্ক যুবক, আমার স্পষ্টবাদিত অনেকাংশে সে বয়সেরই ধৰ্ম্ম, কিন্তু তাহার চারিত্রিক দৃঢ়তা বহু পরীক্ষিত। তিনি কৰ্ত্তব্যনিষ্ঠ গৃহস্বামী, কৰ্ম্মজীবনে প্ৰতিষ্ঠিত ও দায়িত্বশীল সরকারী চাকুরিয়া। শুধু তাহাই নয়—তিনি উড়ো সাহেবেরই অধীনস্থ কৰ্ম্মচারী । সুতরাং এজাতীয় অপ্ৰিয় সত্য প্ৰকাশের ফলে যে তাহার জীবনে বহু বিনু বিপত্তি আসিবে ইহা জানিয়াও তিনি সেদিন ক্ষণেকের জন্য ইতস্ততঃ করেন নাই। তঁহার তেজস্বিতা ও হৃদয়বত্তা সত্য সত্যই সেদিন আমার কিশোর মনে এক নূতন সুর সংযোজন করে। মাতুলের সত্যস্তৃত চরিত্রের আলোকে সেদিন আমি আমার জীবন-বণ্ডিকাটি জ্বালাইয়া নিয়াছিলাম । আদর্শবাদী পুরুষ পণ্ডিত দ্বারকানাথকে সকলেই খুব কৰ্ত্তব্যকঠোর বলিয়া জানিতেন। কিন্তু তাহার দরদী মন যে, জাতি ও সম্প্রদায় নির্বিশেষে সকলের দুঃখেই বিচলিত হইত। সে খবর অনেকেই রাখেন না। প্রসঙ্গতঃ একটি কথা মনে পড়িতুেছে। ܗ ܓ݁ܶܔܰ