পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহান পুরুষদের সান্নিধ্যে পিতৃদেবকে পত্ৰ দিবার কয়েকদিন পরেই দ্বারকানাথ একদিন আমাকে তাহার চিংড়িপোতার গৃহে আহবান করিলেন। পিতার লেখা পত্ৰখানি দেখিলাম। এসম্পর্কে নিজের কোন মতামত না জানাইয়া, আমার কি করা উচিত তাহাই দ্বারকানাথ প্রশ্ন করিলেন। সমস্ত ঘটনাটি জানাইয়া মাতুলকে বলিলামআমিই উদ্যোগী হয়ে তাদের জীবনে এ দুঃখময় পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছি। আজ যদি তুর্দিনে তাদের পাশে না দাড়াই তবে কি আমার মনুষ্যত্বের মৰ্য্যাদা থাকবে ? এতক্ষণ মাতুল একটি কথা ও বলেন নাই। আমার কথা শেষ হইলে তিনি সস্নেহে বলিতে লাগিলেন—তুমি ঠিক কথাই বলেছ। বন্ধুর এই দুদিনে তার নিকটে থাকাই তোমার অবশ্য কৰ্ত্তব্য। এসম্পর্কে কোন মতা স্তরের স্থান নেই-বিশেষ করে আমার ভাগ্নে হয়ে তুমি মানুষের বিপদের সময়ে কেবলমাত্ৰ আচারঅনুষ্ঠানের ভয়ে সরে আসবে, এ আমি দেখতে চাই না। লোকাচার ও সংস্কার অপেক্ষা কৰ্ত্তব্য অনেক বড় বস্তু। কখনো তা’ হতে বিচু্যত হবে না । তেজস্বী, কৰ্ত্তব্যকঠোর দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণের সে দিনকার সেই সহজ সুন্দর মূৰ্ত্তিটি দেখিয়া ও ক্ষমাশীল মনের পরিচয় পাইয়া আমি মুগ্ধ হইয়া গেলাম। অতঃপর তিনিই আমার পিতার নিকট পত্ৰ দিয়া তাহাকে শাস্ত করেন । এ প্রসঙ্গে আর একটি কথা মনে পড়িতেছে। আমি তখন RRR