পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহান পুরুষদের সান্নিধ্যে হইতে ফিরিয়া আসিয়া আবার কাৰ্য্যভার গ্ৰহণ করিলে আমি অনেকাংশে ভারমুক্ত হই । সোমপ্ৰকাশ যথানিয়মে প্ৰকাশিত হইতে থাকে এবং ইতিমধ্যে দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ “কল্পদ্রুম’’ নামে আর একখানি মাসিকপত্রও প্রকাশ করেন। তাহার লেখনী নৈপুণ্যে এবং মনস্বিতা ও উন্নততর আদর্শের স্পর্শে কল্পদ্রুমও অতি অল্পকাল মধ্যে বাংলার শিক্ষিত সমাজে খ্যাতি অর্জন করে । বাংলা পত্রিকার। এ জাতীয় প্রচার, প্রেসার ও সাংস্কৃতিক উন্নতি লক্ষ্য করিয়া ইংরেজ রাজপুরুষগণ কিছুটা শঙ্কিত হইয়া উঠেন । এই সময়ে লর্ড লীটন বাংলা পত্রিকাগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করিবার উদ্দেশ্যে 'ভাৰ্ণাকুলার প্রেস অ্যাক্ট’ প্ৰবৰ্ত্তন করেন। সরকারের এই অন্যায় মনোবৃত্তির প্রতিবাদ স্বরূপ তেজস্বী দ্বারকানাথ তাহার সোমপ্ৰকাশ পত্রিকা মুদ্রণ বন্ধ করিয়া দেন। শিক্ষিত বাঙালী সমাজে সোমপ্ৰকাশ সে সময়ে যথেষ্ট প্রেরণা যোগাইত—তাই ইহা বন্ধ হইবামাত্ৰই দেশব্যাপী এক তীব্র অসস্তোষের সৃষ্টি হয় । পরবর্তী শাসক, কূটনীতিজ্ঞ স্যার অ্যাশলী ইডেন দেশের হাওয়া লক্ষ্য করিয়া মনে মনে শঙ্কিত হইয়া উঠেন । মাতুল দ্বারকনাথকে এ সময়ে তিনি এক গোপন বৈঠকে আমন্ত্রণও জানান। ইডেনের সনির্বন্ধ অনুরোধে সোমপ্রকাশ পুনমুদ্রিত হইতে থাকে। অতঃপর দ্বারকানাথের পত্রিকার পূর্বতন ঔজ্জ্বল্য ও আকর্ষণ কিন্তু দিন দিনই কমিয়া যাইতে থাকে। ইহর কারণও २७०