পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহান পুরুষদের সান্নিধ্যে তাহার সতীত্ব ও সকল কিছু হারাইয়াছে, বর্তমানে সে তাহার গৰ্ভস্থ সন্তানটি বিনষ্ট করিবার প্রস্তাবে সম্মত না হওয়ায় সেই দুৰ্ব্বত্ত তাহাকে গৃহ হইতে নিৰ্ম্মমভাবে তাড়াইয়া দিয়াছে। সমস্ত কাহিনীটি সে দ্বারকানাথের নিকট অকপটে ব্যক্ত করিল ও ব্যাকুলভাবে কঁদিতে লাগিল। ঘটনাটি অত্যন্ত ন্যাক্কার জনক। আমরা হইলে হয়ত এই রমণীটির প্রতি মোটেই সহানুভূতিশীল হইতে পারিতাম না। কিন্তু মাতুলের মত নিষ্ঠাবান ব্ৰাহ্মণ কাহিনীটি শুনিয়া হঠাৎ এ রমণীর দুঃখে বিচলিত হইয়া পড়িলেন। অতঃপর নিজ ব্যয়ে ধনীর বিরুদ্ধে তিনি সেই বিধবাকে দিয়া খোরপোষ দাবীর মামলা আনয়ন করেন। বিচারে শেষ পৰ্য্যস্ত এ মামলায় জয় হয়। বঞ্চিত রমণীটি রোত্মা ধনীর নিকট হইতে নিয়মিত মাসোহারা পাইতে থাকে। এই ঘটনাটি মাতুলের আদর্শনিষ্ঠা ও মানবপ্রেমের এক অপূৰ্ব্ব নিদর্শন। ইহা হইতে একটি বাস্তব শিক্ষা সেদিন প্রাপ্ত হইলাম। অন্যান্য ক্ষেএেও দেখিয়াছি, মানুষের প্রকৃত তুর্দিনে তিনি কখনই আচার-আচরণের চুলচেরা বিচার লইয়া বসিতেন না, মানব কল্যাণের জন্য এক স্বতঃস্ফৰ্ত্ত দরদ লইয়া দুৰ্গতের পাশে আসিয়া দাড়াইয়া পড়িতেন । এই ঘটনার কিছুদিন পরে মাতুল একদিন তাহার অধ্যয়নকক্ষে বসিয়া আছেন। এমন সময় খবর পাইলেন, তাহারই এক প্ৰতিবেশী কিছুদিন যাবৎ একটি বিধবা ও তাহার শিশু সস্তানের সম্পত্তি আত্মসাৎ করার চেষ্টা করিতেছে। একদিন সেই দুৰ্ব্বাত্ত \30 Q.