পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিদ্যাসাগর একথা শুনিয়া বিদ্যাসাগর মহাশয় যেন হঠাৎ চমকিয়া উঠিলেন। সপ্রশ্ন দৃষ্টিটি আমার প্রতি নিবদ্ধ করিয়। তিনি দৃঢ় কণ্ঠে বলিয়া উঠিলেন-দাড়াও যেওনা । তারপর আমাকে বেশ কিছুটা ভংসেনা করিয়া বলিলেন, আমার বন্ধুর পিতাকে তিনি আগামী কল্য আমার গৃহে লইয়া যাইবেন । কথামত কাজ করিতে উর্তাহার ভুল হয় নাই। পুত্রের রোগশয্যার পাশে পিতাকে বসাইয়া তিনি আমায় বাহিরে ডাকিয়া লইয়া গেলেন। তারপর আমার হাতে কিছু টাকা দিয়া বলিলেন,-দেখবে, তোমার বন্ধুর স্ত্রী-কন্যার যেন কোন রকম কষ্ট না হয় । আমি অবাক হইয়া এই বিরাট পুরুষের মুখের দিকে চাহিয়া রহিলাম । মনে হইল, গতকল্যকার সেই সদাচারী নিষ্ঠাবান ব্ৰাহ্মণের সহিত আজিকার এই কোমলহৃদয় বুদ্ধের যেন কোন সম্বন্ধই নাই । কাল যাহাকে সাহায্য করার জন্য আমাকে তিরস্কার করিয়াছিলেন, আজ তাহারই পরিবারবর্গের জন্য কি গভীর সমবেদন । মন শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতায় ভরিয়া উঠিল । ইহার অল্প কিছুদিন পর অপর একটি ঘটনা ঘটে যাহাতে * বিদ্যাসাগরের চরিত্রের আর একটি মহান দিক আমার সম্মুখে উদঘাটিত হয়। এই সময় তাহার মাতা পরলোক গমন করেন । মাতৃভক্ত পুত্রের সম্মুখে সমস্ত বিশ্বের অস্তিত্ব যেন বিলীন হইয়া যায়। তাঁহার মানসিক অবস্থা ক্রমে এমন দাড়ায় যে, তিনি R