পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহর্ষি দেবেন্দ্ৰনাথ ঠাকুর
আমার বহু দিনের এ ইচ্ছা পূরণের সুযোগ ঘটিল। একদিন তিনি নিজেই আমাকে লইয়া গিয়া মহর্ষির সহিত পরিচয় করাইয়া দিলেন। মহাপুরুষের প্রত্যক্ষ সান্নিধ্যে আসিয়া আমার চিত্ত অপাের আনন্দে পূর্ণ হইয়া উঠিল।
প্ৰথম যখন তাহার সহিত পরিচয় ঘটে তখন আমি মাত্র অষ্টাদশ কি উনবিংশ বৎসর বয়স্ক এক তরুণ । মহৰ্ষির উপস্থিতি আমার নিকট প্ৰতিভাত হয় যেন এক আবির্ভাব রূপে ! স্তব্ধ বিস্ময়ে, সমস্ত অন্তর দিয়ে। এই বিরাট পুরুষকে সেদিন সশ্রদ্ধ প্ৰণাম জানাইয়াছিলাম । তাহার স্বপ্রতিষ্ট ব্যক্তিত্বের একটি দুনিবার আকর্ষণ ছিল, সৰব্বদাই তাহা আমাকে তাহার প্রতি আকৃষ্ট করিত। আবার তাহার ব্যক্তিত্বের বিরাটত্বই যেন তাহার সান্নিধ্যে যাইবার ইচ্ছাকে ব্যাহত না করিয়া পারিত না । এই আকর্ষণ ও বিকর্ষণের মধ্য দিয়া আমার উন্মুখ চিত্ত র্তাহার প্রতিটি বাক্যকে মন্ত্রের ন্যায় অনুধাবন করিতে চাহিত ।
সে সময়ে ব্ৰাহ্ম সমাজে এক বিচ্ছেদের অধ্যায় চলিতেছে । ১৮৬৬ খৃষ্টাব্দে আদি ব্ৰাহ্মসমাজের একদল সদস্য মতানৈক্যের জন্য ব্ৰহ্মবান্ধব কেশব সেনের নেতৃত্বে ভারতীয় ব্ৰাহ্মসমাজ নামক একটি স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান গঠন করেন। তখনকার মনোমালিন্য ও দলাদলি মহৰ্ষিকে মৰ্ম্মান্তিকভাবে আঘাত করে। তিনি ইহার পর হইতে অধিকাংশ সময়ই কলিকাতার বাহিরে পৰ্ববতাঞ্চলে বা নির্জনস্থানে ধ্যানধারণা, অধ্যয়ন, আরাধনা